মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

নতুন আগ্রাসনের পথে ইসরায়েল, গাজা থেকে সরবে না বাহিনী

6818d4aa4c59b758f52c8bc8

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল একটি ‘ব্যাপক সামরিক অভিযান’ শুরু করতে যাচ্ছে। হামাসকে পরাজিত করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সেনাবাহিনী যে এলাকাগুলো দখল করবে, সেগুলো আর ছেড়ে দেওয়া হবে না।

সোমবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, গতরাতে কেবিনেটের বৈঠকে আমরা গাজায় বড় পরিসরে সামরিক অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেনাপ্রধান এয়াল জামিরের সুপারিশে। হামাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এই অভিযান আরও বিস্তৃত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই অভিযান আমাদের আটক ইসরায়েলিদের মুক্ত করতেও সহায়তা করবে। আমি সেনাপ্রধানের সঙ্গে একমত—আমরা এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব যতক্ষণ না সবার মুক্তি নিশ্চিত হয়। আমরা কাউকে পেছনে ফেলব না।

নেতানিয়াহু জানান, সেনাবাহিনী গাজায় শুধু প্রবেশই করবে না, বরং সেসব এলাকায় স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে। তিনি বলেন, আমরা রিজার্ভ বাহিনীকে ডাকি শুধু ঢুকে আবার বেরিয়ে আসার জন্য নয়। এমনটা হবে না। আমাদের সেনারা দখল করা এলাকাগুলোতেই থাকবে।’

আইনি মহলের কিছু বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি শুনেছি, অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তা মানি না। আমরা এখন গাজায় বড় পরিসরে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি, যা সেনাপ্রধানের সুপারিশ অনুযায়ী হচ্ছে।’

যুদ্ধকালীন ব্যর্থতা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তার ভাষায়, ‘তদন্তটি হতে হবে সর্বব্যাপী এবং এতে নেতৃত্বের সব স্তরকে—প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে নিচ পর্যন্ত—অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমি নিজেই এই তদন্তের পক্ষে। এটি হতে হবে সরকারি, নিরপেক্ষ এবং জনস্বীকৃত একটি তদন্ত কমিটি, যাতে বিভিন্ন মতামত প্রতিফলিত হয়।’

এদিকে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেত্সালেল স্মোত্রিচ বলেছেন, গাজায় সেনা অভিযানের পর যেসব এলাকা ইসরায়েল দখলে নেবে, তা আর ফিরিয়ে দেওয়া হবে না—এমনকি যদি বন্দিমুক্তির বিনিময়েও হয় না।

এই সব বক্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন ইসরায়েলি কেবিনেট গাজায় যুদ্ধ আরও সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার আরও অঞ্চল দখল করে সেখানে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করা হবে। একইসঙ্গে বেসামরিক জনগণকে চাপের মুখে দক্ষিণ গাজার সেনানিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা হবে।

আরো পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন