যদি পাকিস্তানের ওপর জোর করে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে এর জবাব দেওয়া হবে ‘কঠোর এবং নিশ্চিতভাবে’—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
শনিবার (৪ মে) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, রাওয়ালপিন্ডির জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে (জিএইচকিউ) সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কোর কমান্ডার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সাম্প্রতিক আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। বলা হয়, পাকিস্তানি জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ীই এই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে।
সম্মেলনে ভারতীয় দখলদারিত্বাধীন জম্মু ও কাশ্মীরে (আইআইওজেকে) নিরাপত্তা বাহিনীর নিপীড়ন নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। বিশেষ করে, কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক এক ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ভারতীয় বাহিনীর হামলারও নিন্দা করা হয়।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের অমানবিক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড শুধু অঞ্চলটিকে আরও অস্থির করে তোলে। এর জবাব পাকিস্তান দেবে যথাযথভাবে—কঠোর ও দৃঢ়ভাবে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, ভারত সরকার রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রক্সি শক্তির মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে পাকিস্তান তার জবাব দেবে কঠোর হাতে।
সেনাবাহিনীর ভাষায়, সন্ত্রাস, নিপীড়ন কিংবা আগ্রাসন—কোনো কিছুই পাকিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে রাখতে পারবে না।
সূত্র: কেএমসি