মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুজ সম্প্রদায়কে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। লেবাননের প্রভাবশালী নেতা ওয়ালিদ জুমব্লাত এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আশ-শরার মধ্যকার সাম্প্রতিক বৈঠকে সেই উদ্বেগের প্রতিফলন দেখা গেছে। বৈঠকে সাম্প্রদায়িক সংঘাত, নিরাপত্তা হুমকি এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
জুমব্লাতঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ার জাবালুল আরব অঞ্চলে দ্রুজ সম্প্রদায়কে ঘিরে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা তাকে আশঙ্কিত করে তুলেছে। ওই এলাকায় ইসরায়েলের প্রচারণা, প্রলোভনমূলক কার্যক্রম ও রাজনৈতিক তৎপরতা দিনদিন বাড়ছে বলে জানান তারা।
সূত্রগুলো আরও জানায়, সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জাবালুশ শায়েখ সফরের সময় দেওয়া বক্তব্য এবং দখলকৃত গোলান মালভূমিতে বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনাকে জুমব্লাত একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন।
সিরিয়ায় শান্তি ও সংলাপের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জুমব্লাত সম্প্রতি একটি ‘ফিতনার প্রকল্প’ নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তার ভাষ্য, দেশি-বিদেশি কিছু শক্তি পরিকল্পিতভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্রিয়। বিশেষ করে জারমানা ও আশরাফিয়্যাত সাখনায়ায় সাম্প্রতিক নিরাপত্তা অস্থিরতা এবং দ্রুজদের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে তিনি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ইসরায়েলের হস্তক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে জুমব্লাত বলেন, ‘শেইখ মুফাক তারিফ ও তার অনুসারীরা সিরিয়া ও লেবানে বনি মারুফ সম্প্রদায়কে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এক অন্তহীন যুদ্ধে জড়াতে চাইছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল কিছু দ্রুজকে ব্যবহার করলেও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
একই সঙ্গে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসবাসরত দ্রুজদের উদ্দেশে জুমব্লাত বলেন, ‘যারা এখন ইসরায়েলের সহায়তা চাইছেন, তাদের এই আওয়াজ বন্ধ করা উচিত।’
সূত্র: আল-আরাবি