মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

২০২০ সালের পর সর্বনিম্ন বিদেশি বিনিয়োগ, চাপে সৌদি অর্থনীতি

২০২০ সালের পর সর্বনিম্ন বিদেশি বিনিয়োগ, চাপে সৌদি অর্থনীতি

যে সৌদি আরব এক সময় গোটা বিশ্বকে ঋণ দিত, সেই দেশকেই এখন ঋণ নিতে হচ্ছে। ২০২০ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বড় ধস দেখলো দেশটির বিদেশি বিনিয়োগ খাতে।

চলতি বছরে (২০২৪) সৌদি আরবে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ নেমে এসেছে মাত্র ২১ বিলিয়ন ডলারে, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ চলতি বছরের জন্য রিয়াদের লক্ষ্য ছিল ২৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ টানা। ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এবারই প্রথম ব্যর্থ হলো সৌদি সরকার।

প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য থাকলেও সেটি দিন দিন ধাক্কা খাচ্ছে।

এদিকে চলতি হিসাবেও ঘাটতিতে গেছে সৌদি আরব। গত কয়েক বছর পর এমন ঘটনা ঘটলো, তাও আবার যখন তেলের দাম ছিল ৮০ ডলার প্রতি ব্যারেল। অথচ অতীতে এর চেয়ে কম দামেও সৌদি আরব বাজেট উদ্বৃত্ত রেখেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তেল উৎপাদন হ্রাস, বিনোদন, ক্রীড়া এবং মেগা প্রকল্পে ব্যয়ের চাপ এই ঘাটতির মূল কারণ।

তারা বলছেন, বাজেট ভারসাম্য রক্ষায় এখন সৌদি আরবের দরকার প্রতি ব্যারেলে অন্তত ৮২ ডলার, যা ২০১২ সালের পর সর্বোচ্চ মূল্য।

বিশ্বকাপ ২০৩৪-এর মতো বড় আয়োজন সামনে রেখে দেশটির ব্যয় আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) পূর্বাভাস দিয়েছে, অন্তত আগামী পাঁচ বছর বহিঃখাত ঘাটতির মুখে পড়বে সৌদি আরব।

সর্বশেষ