এক ধাপে চূড়ান্ত সমঝোতার একটি প্রস্তাব কায়রোতে জমা দিয়েছে হামাস। মিসরের একাধিক সূত্র আল-আরাবি আল-জাদিদকে জানিয়েছে, হামাসের প্রস্তাবটি একটি পূর্ণাঙ্গ ও চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির খসড়া। এতে একযোগে জীবিত ইসরায়েলি বন্দি ও নিহতদের মরদেহ হস্তান্তরের পাশাপাশি যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান ও গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত করার শর্ত রাখা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ও আন্তর্জাতিক গ্যারান্টির আওতায় সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব
হামাসের পক্ষ থেকে কায়রোতে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বন্দিমুক্তির পাশাপাশি অন্তত পাঁচ বছরের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সময়ে গাজার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ওপর আরোপিত সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
প্রতিরোধের অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে পরিষ্কার কাঠামো
হামাসের প্রস্তাবে প্রতিরোধের অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়েও একটি সুস্পষ্ট কাঠামো তুলে ধরা হয়েছে। মিসরীয় সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির সময়ে যদি ইসরায়েল চুক্তির সব শর্ত মেনে চলে, তাহলে হামাসও অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে। এ বিষয়ে নজরদারি ও নিশ্চয়তার ব্যবস্থাও থাকবে। তবে গাজার আশপাশে সুড়ঙ্গসহ প্রতিরক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ রাখার দাবিকে হামাস একপেশে নিরাপত্তার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতি যেন আত্মসমর্পণের শামিল না হয়। হামাস স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, চুক্তি লঙ্ঘিত হলে তারা জবাব দিতে প্রস্তুত থাকবে।
গাজা প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়াবে হামাস
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, হামাস গাজার বেসামরিক প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়াবে। এর আওতায় পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বও থাকবে, যা পরিচালিত হবে মিসরের তত্ত্বাবধানে গঠিত একটি অস্থায়ী প্রশাসনিক কমিটির মাধ্যমে। কায়রো এই কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাইয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
সূত্র: আল-আরাবি আল-জাদিদ