মার্কিন সেনা প্রত্যাহার
সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিতে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক ইস্যুর অগ্রাধিকার ক্রমেই কমে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আরও একবার অঞ্চলজুড়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করল।
শূন্যতা ও সম্ভাবনা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাসের প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সিরিয়ায় এক ধরনের কৌশলগত শূন্যতা তৈরি হবে। এই শূন্যস্থান পূরণে তুরস্ক সামনে চলে আসতে পারে। আঙ্কারা ধীরে ধীরে নিজেকে একটি প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ।
ভূরাজনৈতিক অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার তাদের মধ্যপ্রাচ্য নীতির নতুন দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। বিস্তৃত সামরিক উপস্থিতি থেকে সরে এসে তারা এখন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘাঁটি রাখার পরিকল্পনা করছে। এর অন্যতম উদাহরণ হাসাকাহ প্রদেশের রামিলান বিমানঘাঁটি, যা অন্তত আরও এক বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে স্পষ্ট হয় যে, ওয়াশিংটন এখন সীমিত পরিসরে প্রভাব বজায় রাখতে চায়।
আঙ্কারার কৌশলগত অগ্রগতি
সিরিয়ায় তুরস্কের উপস্থিতি ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে আঙ্কারা এই অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন হুমকি ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তুরস্ক কৌশলগত প্রভাব বিস্তারে অগ্রসর হচ্ছে।
শক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া ইরান ও রাশিয়ার জন্যও এক ধরনের সুযোগ তৈরি করেছে। যদিও এই দুই দেশ নিজ নিজ ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, তবু সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তারে তাদের আগ্রহ ও তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ইউরোপীয় মিত্রদের উদ্বেগ
যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা এই সিদ্ধান্ত ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে যখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় ছাড়াই, তখন স্বাভাবিকভাবেই মিত্রদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র : আমাদ
