ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একাধিক তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে শহর। রোববার রাতে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন বাহিনী রাজধানী সানায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে বলা হয়েছে, মধ্য ইয়েমেনের মারিব প্রদেশের জুবা জেলায় অন্তত তিনটি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-হুদাইদা প্রদেশের কামরান দ্বীপেও একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী—এ তথ্য জানিয়েছে ইয়েমেনের সরকারি বার্তা সংস্থা সাবা।
রোববার এর আগেই হুথি আন্দোলনের রাজনৈতিক কাউন্সিলের প্রধান মাহদি আল-মাশাত বলেন, “মার্কিন হামলায় আমাদের ক্ষয়ক্ষতি এক শতাংশেরও কম।” তিনি দাবি করেন, এই হামলাগুলোর সব লক্ষ্যবস্তু ছিল বেসামরিক।
হুথিদের টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরা জানায়, মাহদি আল-মাশাতের অভিযোগ, “ডোনাল্ড ট্রাম্প ইয়েমেনে কোনো কৌশলগত সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। তিনি শুধু বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। সব হামলাই চালানো হয়েছে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর, আর প্রাণ গেছে নিরপরাধ নাগরিকদের।”
গত ১৫ মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে অন্তত ১২০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এই হামলাগুলো শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে। তিনি ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে “বৃহৎ আক্রমণ” চালানোর আদেশ দেন এবং পরে “পুরোপুরি ধ্বংসের” হুমকিও দেন।
মার্চের মাঝামাঝি থেকে হুথি বাহিনী ইসরায়েলি জাহাজ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাদের অভিযান জোরদার করে। এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও হুথিদের মধ্যে সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
সূত্র: আরটি + ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যম