ইয়েমেনের হুদায়দা প্রদেশের রাস ঈসা বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ১৭ জন শ্রমিক ও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হুথি-সমর্থিত গণমাধ্যমগুলোর দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলা চালানো হয় এবং বন্দরে একাধিকবার বোমা ফেলা হয়।
হুথিদের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৯টি হামলার লক্ষ্য ছিল মধ্য ইয়েমেনের আল-বায়দা, উত্তরাঞ্চলের সানাআ এবং পশ্চিমের রাস ঈসা বন্দর। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরা চ্যানেল জানায়, আল-বায়দায় একটি সরকারি কমপ্লেক্সে তিনটি, সানাআয় দুটি এবং রাস ঈসায় চারটি হামলা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, হুথিদের অর্থনৈতিক শক্তি দুর্বল করতেই রাস ঈসা জ্বালানিবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। তারা দাবি করেছে, সাধারণ জনগণ নয়, বরং হুথিদের ‘দমন থেকে মুক্তি চাওয়া’ মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই অভিযান।
সেন্টকম আরও জানায়, বিশ্ব কখনোই সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য জ্বালানি ও অস্ত্রের চোরাচালান মেনে নেবে না।
লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত রাস ঈসা বন্দরটি ১৯৬১ সালে স্থাপিত হয় এবং এটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কৌশলগত গুরুত্বের কারণেই এই বন্দর ঘিরে অতীতেও বহুবার সংঘর্ষ হয়েছে।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর তথ্যমতে, ১৫ মার্চ থেকে ইয়েমেনে শতাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হুথিদের দাবি, এসব হামলায় ১২৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২৫৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এ হামলাগুলো আসে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুথিদের বিরুদ্ধে ‘বড় ধরনের’ অভিযানের নির্দেশ দেন এবং তাদের ‘সম্পূর্ণ নির্মূলের’ হুমকি দেন। এর জবাবে হুথিরা ইসরায়েল ও ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তাদের ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়ই এসব হামলা চালানো হচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা