মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

সুদানে শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা, নিহত শতাধিক

সুদানে শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা, নিহত শতাধিক
সুদানে শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা, নিহত শতাধিক। ছবি : সংগৃহিত

সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের জমজম শরণার্থী শিবিরে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF)-এর চালানো ভয়াবহ হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ‘রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল’-এর নয়জন কর্মী।

রোববার রাজ্যটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইব্রাহিম খাতির এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ধারাবাহিক হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। আহতদের অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, RSF হামলার সময় ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে, যার ফলে ব্যাপক বেসামরিক প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবক ত্রাণকর্মীরাও। তারা জমজম শিবিরে ‘রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল’-এর পক্ষ থেকে পরিচালিত একটি অস্থায়ী হাসপাতালে কাজ করছিলেন।

ইব্রাহিম খাতির শরণার্থী শিবিরের পরিস্থিতিকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শরণার্থীদের ওপর RSF যেভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে, তা পরিকল্পিত হত্যা এবং গণহত্যার শামিল। তারা শরণার্থীদের অপমান করছে, উসকানি দিচ্ছে—যা সরাসরি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’

মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে সেনাবাহিনী, যৌথ বাহিনী এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি RSF-এর আগ্রাসন প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া হামলার সময় জমজম শরণার্থী শিবিরের একটি কোরআন শিক্ষাকেন্দ্রও RSF-এর লক্ষ্যবস্তু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ওই হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী শহিদ হন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। হামলার সময় শিক্ষাকেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবীরা শিক্ষার্থীদের খাবার পরিবেশন করছিলেন। হামলাকারীরা কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককেও হত্যা করে।

আল ফাশরের প্রতিরোধ কমিটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার আবারও RSF তীব্র আক্রমণ চালায় জমজম শরণার্থী শিবিরে। তারা শিবির লক্ষ্য করে সব ধরনের ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। তবে এ সময় স্থানীয় তরুণদের একটি প্রতিরোধ দল হামলার মোকাবিলায় এগিয়ে আসে।

বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, RSF দূরপাল্লার ‘৪০ দলিল’ রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে শিবিরে গোলাবর্ষণ চালায়। সেখানে বলা হয়, ‘শরণার্থী শিবিরে যেন গোলাবর্ষণের বৃষ্টি হচ্ছে। পুরো এলাকা রক্ত আর অশ্রুতে ভেজা। কেউ নজর দিচ্ছে না, কোথাও কোনো জবাবদিহিও নেই।’

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা