শনিবার এক বিবৃতিতে হামাসের এক শীর্ষ নেতা বলেন, যুদ্ধবিরতি কিংবা ইসরায়েলের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি পুনরায় শুরু করার বিষয়ে তারা এখনো পর্যন্ত কোনো নতুন প্রস্তাব বা উদ্যোগ পায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল আজ কায়রো যাবে। সেখানে মিসরের পক্ষ থেকে দেওয়া বিভিন্ন প্রস্তাব ও চিন্তা-ভাবনা শোনা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব বৈঠক থেকে এমন কোনো অগ্রগতি হবে, যা যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের পথ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, বন্দি বিনিময় নিয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতির কথা বলা হচ্ছে, তা মূলত ধোঁকা ও প্রোপাগান্ডা—যার লক্ষ্য হলো প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে আটক থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারদের ভুল পথে চালনা করা।
সূত্রটি জানিয়েছে, প্রতিরোধ আন্দোলন জানুয়ারি মাসে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা চুক্তির সব ধাপ ও শর্ত পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
শেষে, তিনি মধ্যস্থতাকারী ও নিরাপত্তা দাতা দেশগুলোকে ইসরায়েলকে চুক্তির শর্তাবলী বাস্তবায়ন করতে চাপ দিতে আহ্বান জানান, কারণ ইসরায়েল চুক্তির ওপর তার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্বে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে এবং এ ব্যাপারে তারা ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিফ উইটকফ গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, বন্দিদের মুক্তির জন্য একটি “সামগ্রিক ও গুরুত্বপূর্ণ” চুক্তি শীঘ্রই চূড়ান্ত হতে পারে এবং এটি এখন কয়েক দিনের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে।
ইসরায়েলি রেডিও “কান” জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং মিসরের মধ্যে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে নথির খসড়া আদান-প্রদান চলছে।
সূত্র: আরটি
