মাইক্রোসফট থেকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত হওয়া মরক্কোর প্রকৌশলী ইবতিহাল আবু সা’দকে ঘিরে মিশরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দেশটির সাবেক ওয়াকফ উপমন্ত্রী সা’দ আল-ফাকি তাঁর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ‘ইবতিহালের অবস্থান ন্যায় ও নৈতিকতার পক্ষে একজন প্রকৌশলীর সাহসী দাঁড়ানোর জীবন্ত উদাহরণ।’
তিনি জানান, ইবতিহাল একটি অভ্যন্তরীণ বার্তায় মাইক্রোসফট বয়কটের আহ্বান জানান এবং অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। ফাকি বলেন, ‘এটি শুধু সাহসিকতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং ফিলিস্তিনের ন্যায্য অধিকারের প্রতি তার অবিচল আস্থার প্রতিফলন।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের উচিত এই বয়কট আন্দোলনে যুক্ত হওয়া। কারণ মাইক্রোসফট এমন প্রযুক্তি সরবরাহ করছে, যা ইসরায়েল গাজায় গণহত্যার কাজে ব্যবহার করছে।
গাজার শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফাকি বলেন, ‘এই গণহত্যায় শিশু, নারী, বৃদ্ধ—কেউই রেহাই পায়নি। এটি একপ্রকার জাতিগত নির্মূল অভিযান, যা সব আসমানী ধর্ম ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’
তিনি বলেন, ‘গাজার জনগণের জন্য খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ ইচ্ছাকৃতভাবে রোধ করে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত রূপ।’
ফাকি মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আজ আরব ও ইসলামী দেশগুলোর ঐক্য অত্যন্ত জরুরি। আমাদের সম্মিলিতভাবে মার্কিন-ইসরায়েলি ঔদ্ধত্যের জবাব দিতে হবে।’
প্রতিবাদ
মাইক্রোসফটের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কোম্পানির এআই বিভাগের প্রধান মোস্তাফা সুলেইমান বক্তব্য রাখার সময় ইবতিহাল সরাসরি প্রতিবাদ জানান। তাঁর অভিযোগ ছিল, মাইক্রোসফট এআই প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাজায় আগ্রাসনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর পক্ষপাতদুষ্ট নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কি আজ অপরাধে পরিণত হয়েছে?
সূত্র: RT Arabic