মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘সব জিম্মি মুক্ত না হলে গাজায় নরকের দ্বার খুলে যাবে।’
আজ রোববার জেরুজালেমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে রুবিওর এটিই ছিল প্রথম বৈঠক। এর আগের দিনই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ষষ্ঠ দফায় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে।
বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজা নিয়ে আমাদের একটি যৌথ কৌশল রয়েছে, তবে এর বিস্তারিত প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কখন নরকের দ্বার খুলবে, তা এখনই বলা যাবে না। তবে যদি আমাদের সব জিম্মি মুক্ত না হয়, তাহলে তা নিশ্চিতভাবেই খুলবে। আমরা হামাসের সামরিক সক্ষমতা এবং তাদের রাজনৈতিক শাসন ধ্বংস করব।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘রুবিওর সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইরান আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো গাজার যুদ্ধ।’ তিনি আরও দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু’।
অন্যদিকে, মার্কো রুবিওও হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘হামাস সামরিক বাহিনী বা সরকার হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না… তাদের পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ইরান কখনোই পারমাণবিক শক্তি অর্জন করতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘পারমাণবিক শক্তিধর ইরান নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক চাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে, যা কখনোই হতে দেওয়া যাবে না। ইরানই মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার প্রধান কারণ।’
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর রুবিও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার, রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হারজগ এবং বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘ভারী বোমার’ একটি চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে।
সূত্র: আশ-শারকুল আওসাত
