গাজা চুক্তি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে শিগগিরই বৈঠকে বসবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা (ক্যাবিনেট)। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এমন সময়ে এই সিদ্ধান্ত আসছে, যখন তেল আবিবের ওপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ক্যাবিনেটের বৈঠক ডাকবেন, যাতে গাজা চুক্তি সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।’
এ ছাড়া নেতানিয়াহু গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান সমন্বয় এবং এ ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তিনি গাজা সংকটে ইসরায়েলের অবস্থানের প্রতি ট্রাম্পের পূর্ণ সমর্থনেরও প্রশংসা করেন।
এমন ঘোষণার মধ্যেই গতকাল তেল আবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা। তারা চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ইসরায়েলি সরকার তা বিলম্বিত করছে। এতে বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত চুক্তি সম্পন্নের জন্য চাপ বাড়াচ্ছেন। একই সঙ্গে গাজায় নতুন কোনো সামরিক সিদ্ধান্তের আগেই চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হচ্ছে।
এরই মধ্যে গতকাল হামাস তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে— যাদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক ও একজন রুশ নাগরিক রয়েছেন— আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির মাধ্যমে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। এটি চুক্তির ছয় নম্বর ধাপের অংশ।
এখন পর্যন্ত চুক্তির অধীনে ইসরায়েল ১ হাজার ১৩৫ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। এর বিপরীতে গাজায় আটক ১৯ ইসরায়েলিকে মুক্ত করা হয়েছে।
হিব্রু গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গাজায় এখনও ৭৩ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি জীবিত নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রথম ধাপ শুরু হয়। চুক্তিটি তিনটি ধাপে বিভক্ত, যার প্রতিটি ধাপ ৪২ দিন করে চলবে। পরবর্তী ধাপে যেতে হলে চলমান ধাপ শেষ হওয়ার আগেই আলোচনা সম্পন্ন করতে হবে।
সূত্র: টিআরটি অ্যারাবিক