গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ ৪৭১ দিন ধরে চলা ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার অবসান ঘটিয়ে রবিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো উপত্যকায় আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করে। বিভিন্ন এলাকায় তাকবির (আল্লাহু আকবর ধ্বনি) ধ্বনিত হতে থাকে। রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষ যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে মুক্তির আনন্দ উদযাপন করে।
যুদ্ধবিরতির পরপরই গাজার নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা উপত্যকার প্রতিটি প্রদেশে নিজেদের দায়িত্ব পালন শুরু করবে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করা এবং ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার কাজ করবে নিরাপত্তকর্মীরা।
গাজার প্রশাসন শনিবার এক ঘোষণায় জানায়, যুদ্ধবিরতির পর ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক করতে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তারা প্রস্তুত করেছে। এই পরিকল্পনার আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সুরক্ষিত করা হবে এবং জনগণকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
সরকারি পরিকল্পনায় নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও পৌরসভার নেতৃত্বে কাজ পরিচালিত হবে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার বিশেষায়িত টিম মাঠপর্যায়ে সক্রিয় থাকবে, যাতে নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
সূত্র : সাফা