গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ দলগুলো রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব এগিয়ে নিচ্ছে, তা গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পথ খুলে দিতে পারে। জাতিসংঘের নাম ব্যবহার করে উপত্যকায় নতুন ধরনের দখল চাপানোর প্রচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রস্তাবের লক্ষ্য গাজা ও বিস্তৃত ফিলিস্তিন প্রশ্নে বিদেশি তত্ত্বাবধানকে বৈধতা দেওয়া। যেকোনো নামে কোনো বাহিনী গাজায় ঢুকলে তা ফিলিস্তিনের জাতীয় সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে এবং মানুষের ভোগান্তি আরও দীর্ঘ করবে।
প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো সরাসরি আলজেরিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনের প্রতি আলজেরিয়ার দীর্ঘদিনের নীতিগত অবস্থান অটুট রাখাটা এখন অত্যন্ত জরুরি। গাজার পরিচয় ও এখানকার মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারে আঘাত করে এমন কোনো উদ্যোগই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা মনে করে, এই প্রস্তাব ঠেকাতে আলজেরিয়ার অবস্থানই ফিলিস্তিনিদের বাস্তব আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরছে। পুরো উদ্যোগটিকে আলজেরিয়া আন্তর্জাতিক পর্দার আড়ালে নতুন দখল চাপানোর চেষ্টা বলে দেখছে।
প্রতিরোধ যোদ্ধারা আরও বলেছে, আলজেরিয়া কখনোই ফিলিস্তিনের পাশ থেকে সরে যায়নি। তাদের মতে, দেশটি এমন এক স্বাধীন আরব জনমতের কণ্ঠস্বর, যা চাপ বা শর্তের মুখেও অবস্থান বদলায় না। একই সঙ্গে তারা আরব ও মুসলিম প্রধান দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিতে এবং গাজায় আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান বা বিদেশি হস্তক্ষেপের যেকোনো রূপ প্রত্যাখ্যান করতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজার নিরাপত্তা ও স্থিতি ফেরানোর একমাত্র পথ হলো দখল অবসান, অবরোধ প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও ইচ্ছাকে সম্মান করা। গাজার প্রয়োজন স্বাধীনতা ও মর্যাদা। আন্তর্জাতিক বাহিনী নয়।
তারা আরও বলেছে, মার্কিন প্রস্তাব ঠেকানোর জন্য আরব ও ইসলামি বিশ্বের সরকারি এবং জনস্তরের প্রচেষ্টা এক করতে হবে এবং গাজার স্বাধীনতা ও মুক্তির অধিকারের প্রশ্নটি আবারও স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।
সূত্র: কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক











