গত ১৮ মাসে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে ২৭৯টি আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।
বুধবার ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানায়, কনেসেটের (সংসদ) গবেষণা ও তথ্যকেন্দ্রের নতুন এক প্রতিবেদনে সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটি সংসদ সদস্য ওফির কাসিফের অনুরোধে তৈরি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনীতে ২৭৯টি আত্মহত্যার চেষ্টা রেকর্ড করা হয়েছে।
ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজ জানিয়েছে, একই সময়ের মধ্যে আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।
কান-এর উদ্ধৃতি জানানো হয়, সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার প্রচেষ্টার তথ্য সুসংগঠিতভাবে সংগ্রহ শুরু হয় ২০২৪ সাল থেকে। এসব প্রচেষ্টার মধ্যে ১২ শতাংশ ছিল মারাত্মক বা উচ্চ ঝুঁকির, আর বাকি ৮৮ শতাংশ ছিল মাঝারি মাত্রার।
প্রতিবেদনটিতে ২০১৭ সাল থেকে সংগৃহীত তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ১২৪ জন সেনা আত্মহত্যা করে প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বাধ্যতামূলক সেনাসেবায়, ২১ শতাংশ সক্রিয় রিজার্ভে এবং ১১ শতাংশ স্থায়ী সেনাসেবায় কর্মরত ছিলেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সাল থেকে রিজার্ভ সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেড়েছে। গবেষকেরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সক্রিয় রিজার্ভ সদস্যের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরায়েলি সংসদ সদস্য কাসিফের মন্তব্য উদ্ধৃত করে কান জানায়, তিনি বলেন, ‘মানবজীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই। আত্মহত্যার এই মহামারী যুদ্ধ শেষ হলে আরও বাড়তে পারে। এই মহামারী রোধে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। যে সরকার নিজের সৈন্যদের যুদ্ধে পাঠায়, কিন্তু পরিণতি একা মোকাবিলা করতে ফেলে রাখে। সেই সরকার আসলে দেশের বিরুদ্ধেই কাজ করে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল যে গণহত্যা শুরু করে, তা দুই বছর ধরে অব্যাহত থাকে। এই সময়ে ৬৮ হাজার ৫৩১ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হন এবং আহত হন আরও ১ লাখ ৭০ হাজার ৪০২ জন। শহিদদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা পুনর্গঠনে ব্যয় হবে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার।
সূত্র: আল জাজিরা











