মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

টানা হামলায় কাঁপছে গাজা, এক দিনে ৪৪ জনের প্রাণহানি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৪ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণ-পূর্বের জায়তুন এলাকার পূর্ব অংশে গোলাবর্ষণ করেছে। এছাড়া, শাজাইয়া এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলায় শহিদের সংখ্যা বেড়ে ২০-তে পৌঁছেছে। একই এলাকায় আবু হিন পরিবারের একটি বাড়িও হামলার শিকার হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক জরুরি সতর্কবার্তায় শাজাইয়া, আল-জাদিদা, তুরকমান ও জায়তুন পূর্ব এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের গাজার পশ্চিমাংশে অবস্থিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা ওই এলাকায় ‘হামাসের অবকাঠামো’ ধ্বংসে বড় ধরনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে।

গাজার মধ্যাঞ্চলে, নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের পূর্বে একটি বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালানো হয়। এছাড়া, গাজার কেন্দ্রস্থলে খোদারি পরিবারের একটি বাড়িতে বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। রাফাহ শহরের আল-জাহুর এলাকায় একটি ত্রাণ গুদামে ইসরায়েলি হামলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে শরণার্থীদের ঘরবাড়ি ও তাঁবুতে বিমান হামলায় কয়েকজন শহিদ হয়েছেন।

খান ইউনিসের আবাসান আল-কবিরা এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। এ হামলায় খলিল হাজেম তাবাশ নামে এক ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এছাড়া, খান ইউনিসের মাওয়াসি এলাকায় শরণার্থীদের তাঁবুতে হামলায় ৬৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি ইয়াদ মোহাম্মদ ফারহাত শহিদ হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। একই হামলায় আহত শিশু ইব্রাহিম মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শারাবও মারা গেছে। তার পরিবারের সদস্যরাও ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ পুনরায় শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত শহিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০৬৬ জনে। এ সময়ে আহত হয়েছেন ২,৫৯৭ জন।

সূত্র: আরটি

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা