গাজা যুদ্ধ ও লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ফলে ইসরায়েলের সরকারি ঋণ জিডিপি ৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৪ সালে এসব যুদ্ধে ১০০ বিলিয়ন শেকেল (প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় হয়েছে, যা সরকারের ঋণের পরিমাণ এবং অর্থনৈতিক চাপ বহুলাংশে বাড়িয়েছে।
ঋণ বৃদ্ধির হার
২০২৩ সালে ইসরায়েলের ঋণের পরিমাণ ছিল জিডিপির ৬১.৩ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯ শতাংশে। গত দুই বছরে ঋণের অনুপাত ৯ শতাংশ বেড়েছে, যার প্রধান কারণ গাজা ও লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধ।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, ২০২৩ সালে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় ঋণ-জিডিপি অনুপাত কম থাকায় যুদ্ধকালীন অর্থায়ন সহজ হয়েছে। এ সময় বাস্তুচ্যুত মানুষ, ব্যবসা এবং রিজার্ভ বাহিনীর জন্য সহায়তা দিতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
ইসরায়েলের প্রধান হিসাবরক্ষক ইয়ালি রটেনবার্গ জানান, ‘২০২৪ সালে ঋণ-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির মাধ্যমে যুদ্ধকালীন জরুরি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে এটি যত দ্রুত সম্ভব হ্রাসের পথে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
ব্যয় ও ঋণের হিসাব
২০২৪ সালে ইসরায়েলের সরকারি ঋণের পরিমাণ ছিল ১.৩৩ ট্রিলিয়ন শেকেল (প্রায় ৩৭৪.১৩ বিলিয়ন ডলার), যা ২০২৩ সালে ছিল ১.১৩ ট্রিলিয়ন শেকেল (৩১৭.৮৭ বিলিয়ন ডলার)। এ বছর সামগ্রিক সরকারি ব্যয় ছিল ৬২১ বিলিয়ন শেকেল (১৭৪.৬৮ বিলিয়ন ডলার)। এর মধ্যে যুদ্ধের জন্য ব্যয় হয়েছে ১০০ বিলিয়ন শেকেল (২৮.১৩ বিলিয়ন ডলার)।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬০ বিলিয়ন শেকেল (১০১.২৬ বিলিয়ন ডলার)। এর মধ্যে দেশীয় ঋণ ২৭২ বিলিয়ন শেকেল (৭৬.৫ বিলিয়ন ডলার) এবং আন্তর্জাতিক ঋণ ৮৩ বিলিয়ন শেকেল (২৩.৩৪ বিলিয়ন ডলার)।
২০২৩ সালে ইসরায়েলের ঋণ ছিল ১৬০ বিলিয়ন শেকেল (৪৫ বিলিয়ন ডলার)। এর আগের বছর, ২০২২ সালে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৩ বিলিয়ন শেকেল (১৭.৭২ বিলিয়ন ডলার)।
রটেনবার্গ বলেন, ‘ইসরায়েলের উন্নত পুঁজিবাজার , শক্তিশালী অর্থনীতি এবং স্থিতিশীল আর্থিক ব্যবস্থার কারণে ঋণ সংগ্রহে সক্ষম হয়েছে দেশটি।’
যুদ্ধবিরতি নিয়ে সন্দেহ
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। সোমবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই যে যুদ্ধবিরতি টিকে থাকবে।’
হোয়াইট হাউসে ফেরার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি আমাদের যুদ্ধ নয়, এটি তাদের যুদ্ধ। তবে আমি নিশ্চিত নই যে তারা যুদ্ধবিরতি মানবে।’
সূত্র: আল জাজিরা











