IMG-20250703-WA0001

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর সিরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে ক্যাম্পাসে ভিড় জমিয়েছে। দেশটির উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ৮ ডিসেম্বর বন্ধ হয়ে যায়।

গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে অস্থিরতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পুনরায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা এবং পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য প্রকৌশল এবং উচ্চতর ভাষা ইনস্টিটিউটের স্নাতক রিম জুহাইলি জানিয়েছেন, আসাদ সরকারের পতনের পর মানুষ নতুন করে মুক্তির স্বাদ পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আগে মানুষ কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারত না। এমনকি রাজনীতি নিয়ে আলোচনাও ছিল নিষিদ্ধ। এখন মানুষ তাদের মত প্রকাশে স্বাধীন। মনে হচ্ছে, আমরা যেন দীর্ঘদিনের কারাবাস থেকে মুক্তি পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমার ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস আলোচনায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা কঠিন ছিল। যদিও আমরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলতাম না, তবু তারা মতামত প্রকাশে ভয় পেত। কারণ সেই সময় সরকারের অনুমতি ছাড়া কিছু বলা যেত না।’

এদিকে, দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুলেমান সুলুম বলেন, ‘সিরিয়াকে পুনর্গঠন করতে হবে একসঙ্গে কাজ করে। আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করতে হবে।’

শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন, দেশের শরণার্থীরা যেন দ্রুত ফিরে আসতে পারে এবং সিরিয়ার পুনর্গঠনে অংশ নিতে পারে। পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং মৌলিক সেবার উন্নতি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতে, সিরিয়াকে পুনর্গঠনের জন্য শিক্ষা ও মৌলিক সেবার মান উন্নত করা জরুরি। এটি দেশের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *