দক্ষিণ সিরিয়ার দারা প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের সুনমিন শহরের নবম ডিভিশনের পাশে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দারা ২৪’ জানায়, শুক্রবার ওই কবর খনন করে শুধু হাড় ও পোশাকের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই কবর প্রায় ১০ বছরের পুরোনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর দারা প্রদেশের মধ্যাঞ্চলের ইজরা শহরের কুয়েতি ফার্ম নামক এলাকায় আরেকটি গণকবরের সন্ধান মেলে। ওই এলাকাটি আগে সামরিক গোয়েন্দা শাখার অধীনস্থ একটি মিলিশিয়া বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেই কবর থেকে ৩১টি দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে নারী ও এক শিশুর দেহাবশেষও ছিল।
উদ্ধারকৃত দেহাবশেষগুলো পরে ইজরা-শেখ মাসকিন সড়কের পাশে শহীদ কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।
এ ছাড়া, গত ২১ ডিসেম্বর দারা এবং দামেস্কের সীমান্তবর্তী গ্রাম উম আল-কুসুরের কাছেও আরেকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি আবিষ্কৃত কবরগুলোতে লাশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। অধিকাংশ লাশ শুধু হাড়ে পরিণত হয়েছে। এসব কবর আবিষ্কারের পর স্থানীয় বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
গত ৮ ডিসেম্বর স্বৈরাচার বাশার আল আসাদের পতনের পর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব কবর থেকে উদ্ধার হওয়া লাশগুলো মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক বা গুম হওয়া ব্যক্তিদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্স (হোয়াইট হেলমেটস) জানিয়েছে, গণকবরের ক্ষেত্রে অপ্রশিক্ষিত হস্তক্ষেপ মৃতদের মর্যাদা ও তাদের পরিবারের অধিকার লঙ্ঘন করছে। একই সঙ্গে, এটি অপরাধস্থলের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট করে দিচ্ছে। এই প্রমাণগুলো নিখোঁজদের খুঁজে বের করা এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে সহায়ক হতে পারত।
হোয়াইট হেলমেটস সবাইকে গণকবর থেকে দূরে থাকার এবং কোনো ধরনের খনন বা হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: জার্মান বার্তা সংস্থা