সাম্প্রতিক সময়ে আরব দুনিয়ার বইপত্র, গবেষণা আর প্রবন্ধে একটি শিরোনামই ঘুরেফিরে আসছে—আফ্রিকায় ইসরায়েলের অনুপ্রবেশ। কিন্তু এসব লেখার বেশিরভাগই আসলে পুরোনো প্রাচ্যবাদী ধারণার স্থানীয় সংস্করণ ছাড়া আর কিছু নয়। ঐতিহাসিক ভিত্তি যেমন দুর্বল, বিশ্লেষণও তেমন অনুপস্থিত। এসব লেখায় আফ্রিকাকে যেন এক নিস্তেজ, প্রতিরোধহীন মহাদেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। যেখানে রাজনীতিকরা প্রভাবিত, আর ইসরায়েলি কূটনীতি নির্বিঘ্নে প্রভাব বিস্তার করছে কোনো বাধা বা প্রতিরোধ ছাড়াই।
সম্প্রতি এই আলোচনার সুর আরও তীব্র হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রস্তাবের ভোটের পর। ভোটে আফ্রিকার চারটি দেশ—ইথিওপিয়া, ক্যামেরুন, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ও দক্ষিণ সুদান—ভোটদান থেকে বিরত থাকে। আরও আশ্চর্যের বিষয়, বারোটি আফ্রিকান দেশ একেবারেই ভোটে অংশ নেয়নি। এর মধ্যে ছিল তিউনিসিয়া, ইরিত্রিয়া, জাম্বিয়া, লাইবেরিয়া ও বেনিনের মতো দেশ।
অনেকে বলছেন, এই ফলাফল প্রমাণ করছে যে, আফ্রিকা আর আগের মতো এককভাবে ফিলিস্তিনের পাশে নেই। কথাটা আংশিক সত্য হলেও পুরো বাস্তবতা অনেক বেশি জটিল। আফ্রিকার অবস্থানে যে একটা পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট। কিন্তু সেই পরিবর্তনের শুরুটা কোথা থেকে, সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।
মুক্তির স্লোগান থেকে স্বার্থের চুক্তি
সত্য হলো, আরব-ইসরায়েল সম্পর্কের সম্প্রসারণই ফিলিস্তিন ইস্যুকে দুর্বল করে দিয়েছে। ফলে, আফ্রিকার আগে সেটির প্রভাব পড়েছে সরাসরি আরব দেশগুলোর রাজনীতিতেই। একসময়ের মুক্তির স্লোগান এখন ম্লান হয়ে যাচ্ছে কূটনৈতিক হিসাব-নিকাশে। বড় বড় আরব রাষ্ট্র এখন নীতিগত অবস্থানের চেয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে নিজেদের নিরাপত্তা আর অর্থনৈতিক স্বার্থকেই। এর স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যায়, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি ও আঞ্চলিক সমঝোতাগুলোর ক্ষেত্রে।
জামাল আবদুন নাসের আর সৌদি রাজা ফয়সালের সময়ে ফিলিস্তিন ছিল আরবদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দু। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ছিল অঘোষিত এক শর্ত—ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকতে হবে, আর ইসরায়েলকে বর্জন করতে হবে। মিসর তখন আফ্রিকার মুক্তি আন্দোলনগুলোকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করত, এবং সৌদি আরবের কূটনীতিতে ফিলিস্তিন ছিলো শিরোনামের প্রসঙ্গ।
কিন্তু পরবর্তী দশকগুলোতে বদলে যায় সেই সমীকরণ। আরব নেতারা ধীরে ধীরে সেই শর্তটা তুলে দেন। ফলে, ফিলিস্তিন ইস্যু আর নীতিগত অবস্থান নয়, হয়ে ওঠে কূটনৈতিক দরকষাকষি ও নিরাপত্তা-স্বার্থের অংশ।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক প্রতিবেদনে মরক্কোয় ইসরায়েলের প্রভাব বিস্তারের সূচনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬০-এর দশকে মিসরের প্রেসিডেন্ট নাসের মরক্কোর রাজা হাসান দ্বিতীয়কে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেন। তখন রাজা হাসান ইসরায়েলের সহায়তা চান সেই পরিকল্পনা ঠেকাতে। সেখান থেকেই শুরু হয় আরব রাজনীতিতে ইসরায়েলের অনুপ্রবেশ।
এরপর ইতিহাস পরিচিত পথে এগিয়েছে। ১৯৭৯ সালে মিসর ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। ১৯৯৪ সালে জর্ডানও একই পথে হাঁটে। আর ২০২০ সালে আসে নতুন অধ্যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করে।
মুসলিমপ্রধান আফ্রিকান দেশগুলোতেও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে নেতৃত্ব দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আবুধাবি ‘আব্রাহাম চুক্তি’র আওতায় তেল আবিবের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা চুক্তি সই করে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে একই পথে হাঁটে বাহরাইন। এরপর অক্টোবরে সুদান এবং ডিসেম্বরে মরক্কো যুক্ত হয়।
তবে এখানেই থেমে থাকেনি আমিরাত। অন্য দেশগুলোতেও এই স্বাভাবিকীকরণের পথ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় তারা। কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানা যায়, খার্তুমকে রাজি করাতে দেশটি বিপুল অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রণোদনা দিয়েছে। আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশেও এমন উদ্যোগ দেখা যায়। ২০১৯ সালে চাদ যখন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্স্থাপন করে, তখন তাদের সঙ্গে আবুধাবির অংশীদারিও আরও গভীর হয়। এমনকি সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের আগে নাইজারের ক্ষেত্রেও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা চলছিল।
এই পদক্ষেপগুলো আসলে ‘ডমিনো তত্ত্বেরই’ অংশ, যেখানে প্রথম দফার স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির গতি ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে আরও কিছু আরব দেশকে এবং তাদের মাধ্যমে আফ্রিকার দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পথে টানার চেষ্টা চলছে।
এই প্রেক্ষিতে , যেটিকে অনেকে ‘আফ্রিকায় ইসরায়েলের অনুপ্রবেশ’ বলে দেখছেন, তা আসলে এক ধারাবাহিক প্রক্রিয়ারই সম্প্রসারণ। এর সূচনা হয়েছিল আরব বিশ্বের ভেতর থেকেই, ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ছাড়ের মধ্য দিয়ে, আর আধুনিক সময়ে সেই নেতৃত্ব নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এখনো আরও কয়েকটি আরব দেশের এই ধারায় যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
ক্লান্ত আরববিশ্ব, সতর্ক আফ্রিকা
আরব বিশ্বের এই পরিবর্তনের জবাবে আফ্রিকা কোনো প্রতিরোধমূলক কূটনৈতিক অবস্থান নেয়নি। বরং উল্টোটা ঘটেছে, কিছু আরব নেতা প্রকাশ্যে গর্ব করেছেন ইসরায়েলের সঙ্গে ‘শান্তি চুক্তি’র অংশ হতে পেরে। এখানেই প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, প্রকৃত ‘জায়নিস্ট অনুপ্রবেশ’ আসলে কোথায়? আফ্রিকাকে দায়ী করার আগে কি আরব ও মুসলিম জনগণের উচিত নয় নিজেদের শাসকদের ভূমিকা আগে যাচাই করা? বিশেষ করে যখন ফিলিস্তিনের ভুক্তভোগীরা প্রথমত আরব ও মুসলমানই।
আফ্রিকায় ইসরায়েলের প্রভাব বিস্তার নিয়ে যত কথা বলা হয়, বাস্তবে বিষয়টি ততটা একপেশে নয়। অভিজ্ঞতা বলছে, এই বয়ান অনেকটাই অত্যুক্তি। কূটনৈতিকভাবে আফ্রিকা অতীতের মতোই এখনো ফিলিস্তিন ইস্যুর অন্যতম শক্ত সমর্থক। জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার আফ্রিকান দেশগুলো ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় ভোটভিত্তি গড়ে তুলেছে, যা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা শুধু নিন্দা জানিয়েই থেমে থাকেনি; দেশটি ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। যদিও পদক্ষেপটি বড় কোনো আইনি পরিবর্তন আনতে পারেনি, কিন্তু এর প্রতীকী গুরুত্ব ছিল বিশাল। উপনিবেশ ও বর্ণবৈষম্যের ভয়াবহতা দেখেছে যে মহাদেশ, তারা যেন মনে করিয়ে দিয়েছে, ফিলিস্তিনিরাও আজ সেই একই যন্ত্রণার মুখোমুখি। এই অবস্থান আফ্রিকা ও বিশ্বের আরও অনেক দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে একই পথে হাঁটতে।
এ ছাড়া আফ্রিকান ইউনিয়নের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ‘নিজেদের কোনো প্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিষিদ্ধ করা’-কূটনৈতিকভাবে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ। এটি দেখিয়েছে, উপনিবেশবাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া আফ্রিকা এখনো সচেতন। তারা দখলদার কোনো প্রকল্পের সঙ্গে আপস করতে প্রস্তুত নয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটের ভারসাম্যপূর্ণ পাঠ
উপরে যা বলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক অস্বীকার করা বা তার পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা নয়। বাস্তবে ইসরায়েল আফ্রিকার বহু দেশের সঙ্গে সম্পর্কের এক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এর বেশির ভাগই খ্রিষ্টানপ্রধান দেশ, যেখানে তারা প্রবেশ করেছে মূলত ধর্মের দরজা দিয়ে—‘খ্রিষ্টান–ইহুদি মতাদর্শ’ (Judeo-Christianism) ধারণাকে কাজে লাগিয়ে। পরে যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, আর সেই পথ খুলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, অর্থনৈতিক সহায়তার শর্ত হিসেবে তেল আবিবের সঙ্গে সহযোগিতা জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ষাটের দশক থেকেই আরব বিশ্বের বড় দেশগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার বদলে পশ্চিমের দিকে ঝুঁকেছে। ফলে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা ইসরায়েল দ্রুত পূরণ করে। আর আজ সেই আরব দেশগুলোর অনেকেই ‘রাজনৈতিক বাস্তবতা’র যুক্তি দেখিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে হেঁটেছে। এর ফলে নিরাপত্তার বিনিময়ে ফিলিস্তিন প্রশ্নে আপসের এক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থান শুধু আরব বিশ্বের অবস্থানকেই দুর্বল করেনি, বরং আফ্রিকার মতো অন্য মহাদেশগুলোকেও প্রভাবিত করেছে, যারা এখন এই পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিজেদের পররাষ্ট্রনীতির নতুন হিসাব কষছে।
কিছু আরব দেশের হিসাব-নিকাশ শুধু ইসরায়েলকে ঘিরেই নয়; অনেক ক্ষেত্রেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি ন্যূনতম সংহতির অবস্থান থেকেও তারা সরে এসেছে। উদাহরণ হিসেবে জর্ডানের কথা বলা যায়, সেখানকার প্রশাসন গাজার জন্য তহবিল ও সহায়তা সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছে, যুক্তি দেখানো হয়েছে ‘এতে জাতীয় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ অন্যদিকে, বেশ কয়েকটি আরব দেশ নিজেদের নাগরিকদের ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করারও অনুমতি দিচ্ছে না। কোথাও কোথাও তো ফিলিস্তিন ইস্যুতে জনগণের দাবিকেই ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম ও সরকারপন্থী অনলাইন যোদ্ধাদের প্রচারণা। যেখানে ফিলিস্তিনিদেরই দোষী বানানো হচ্ছে, বলা হচ্ছে তাদের বর্তমান সংকট নাকি তাদের নিজস্ব নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তের ফল।
তবু এই একরঙা চিত্রের ভেতরেও কিছু ব্যতিক্রম রয়ে গেছে। কাতার ও আলজেরিয়া এখনো উচ্চকণ্ঠে ফিলিস্তিনের পাশে আছে। একই সঙ্গে কিছু ছোট দেশ, সামাজিক সংগঠন ও ফিলিস্তিনি জনসম্পৃক্ত নেটওয়ার্কও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এসব থেকে বুঝা যায়, আরব ও মুসলিম বিশ্বের সাধারণ মানুষের ইচ্ছা ও সংহতি এখনো ফুরিয়ে যায়নি, যদিও বড় বড় রাজধানীর সরকারি অবস্থান অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে পড়েছে।
চ্যালেঞ্জের কেন্দ্র আফ্রিকায় নয়, আরব বিশ্বেই
আফ্রিকার কিছু দেশের অবস্থানে যে শীতলতা বা দ্বিধা চোখে পড়ছে, তা আসলে আরব বিশ্বের অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং তাদের নীতিতে ফিলিস্তিন ইস্যুর গুরুত্ব হারানোরই প্রতিচ্ছবি। বিশ্ব এখনো ফিলিস্তিন প্রশ্নকে মূলত আরব ও মুসলিম বিশ্বের দায়িত্ব হিসেবেই দেখে, তারপর সেই ধারণা থেকেই নিজেদের অবস্থান ও কৌশল নির্ধারণ করে। ফলে আরব ও মুসলিম দেশগুলো যখন নিজেরাই পিছু হটে বা নীরব থাকে, তখন অন্যদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
অর্থাৎ, ফিলিস্তিন ইস্যুর আসল চ্যালেঞ্জের সূচনা আফ্রিকা থেকে নয়, আরব রাজধানীগুলো থেকেই। এখানেই ফিলিস্তিনের পক্ষে আগের সেই ঐকমত্য ভেঙে পড়েছে; বিষয়টি এখন সমর্থনের বদলে দরকষাকষি ও স্বার্থবিনিময়ের উপকরণে পরিণত হয়েছে।এই পরিবর্তন শুধু আরব-আফ্রিকান সংহতিকে দুর্বল করেনি, বরং সেই শূন্যতা কাজে লাগিয়ে ইসরায়েল কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করার সুযোগ পেয়েছে।
আরবি ম্যাগাজিন ‘আমাদ’-এ প্রকাশিত বিশ্লেষণ। প্রকাশ কাল, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫।











