রাফায় গত কয়েক দিনে যাদের হত্যা ও আটক করার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী, তারা আসলে কাসসাম ব্রিগেডের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছে হামাসের সূত্র। তারা শহরের সুড়ঙ্গগুলোতে অবস্থান করছিল এবং তাদের নিরাপদে বের করে আনার বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছিল।
আশশারকুল আওসাত-কে দেওয়া তথ্যে সূত্রগুলো বলছে, ইসরায়েল যে কয়েকজন আটক যোদ্ধার ছবি প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে কয়েকজনকে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা গেছে। তবে তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ২০১৪ সাল থেকে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি কর্মকর্তা হাদার গোল্ডেনের মরদেহ হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তির অংশ হিসেবে কাসসাম যোদ্ধাদের নিরাপদ পথে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু ইসরায়েল সেই প্রতিশ্রুতি মানেনি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শনিবার রাতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাফার পূর্বাঞ্চলের সুড়ঙ্গ থেকে হামাসের ১৭ জন যোদ্ধাকে তারা হত্যা ও আটক করেছে। সেনাবাহিনীর দাবি ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং ৬ জনকে আটক করে শিন বেতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে রাফায় তাদের বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তারা ‘যেকোনো হুমকি’ দূর করার কাজ চালিয়ে যাবে এবং সেখানে থাকা ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো ধ্বংসের কার্যক্রমও অব্যাহত রাখবে।
গত কয়েক দিন ধরে সুড়ঙ্গের ভেতরে আটকে থাকা সশস্ত্র যোদ্ধাদের বের করে আনার বিষয়ে জোরালো আলোচনা চলেছে। প্রস্তাব ছিল, তাদের অস্ত্র ছাড়া গাজার ভেতরেই নিরাপদ পথে বের করে দেওয়া, অথবা নির্দিষ্ট রুট ধরে মিসর সীমান্তে পাঠানো, সেখান থেকে তৃতীয় দেশে স্থানান্তর করা।
ইসরায়েলি বলছে, এ রকম যোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ২০০। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর হিসেবে এটি ১০০ বা তারও কম।
মার্কিন প্রশাসন ও মধ্যস্থতাকারীরা, বিশেষ করে তুরস্ক এই ইস্যুতে কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু ইসরায়েল এগুলোর কোনোটিই মানেনি। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিরা বলেছিলেন, হাদার গোল্ডেনের মরদেহ বিনিময়ের শর্তে নেতানিয়াহুর সরকার আলোচনায় রাজি হতে পারে।
হামাস ইতিমধ্যে গোল্ডেনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে। কিন্তু ইসরায়েল নিজের প্রতিশ্রুতি রাখেনি। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে থাকা যোদ্ধাদের মধ্যে অন্তত একজন ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের কমান্ডার বা তার ডেপুটি রয়েছেন।
সূত্র: আশ শারকুল আওসাত










