ভারত দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর দমনমূলক কার্যক্রম ও সামরিক আগ্রাসনের কারণে পর্যটন খাত ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। গত মে মাসে ভারতের পাকিস্তানবিরোধী সামরিক অভিযানের পর থেকে উপত্যকায় নিরাপত্তাহীনতা আরও বেড়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে পর্যটন-নির্ভর হাজারো মানুষের জীবিকার ওপর।
কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস জানিয়েছে, উপত্যকায় দীর্ঘমেয়াদি সামরিকীকরণ, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ভারতীয় বাহিনীর কঠোর উপস্থিতির কারণে পর্যটকদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। হোটেল মালিকরা বলছেন, অতিথি সংখ্যা ৭০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। ফলে শিকারা চালক, ট্যাক্সি ড্রাইভার, হস্তশিল্প বিক্রেতা ও রেস্তোরাঁ মালিকরা আয়হীন হয়ে পড়েছেন।

পর্যটন খাতের সংকট মোকাবেলায় গঠিত হয়েছে ‘জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটন ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা ফোরাম (JKTABF)’। নেতৃত্বে রয়েছেন হোটেলিয়ার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান মুশতাক চায়া। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় বাহিনীর কঠোরতা ও দমননীতির কারণে উপত্যকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হোটেল খালি, পরিবহন বন্ধ, হস্তশিল্প ও রেস্তোরাঁ খাত প্রায় ধ্বংসের পথে পতিত হয়েছে। অথচ হাজারো পরিবার এই খাতের ওপর নির্ভরশীল।’
কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জাভিদ আহমদ টেঙ্গা বলেন, ‘কাশ্মীরের অর্থনীতির মেরুদণ্ডই হলো পর্যটন খ্যাত। বর্তমানে এতে সরকারকে জরুরি আর্থিক সহায়তা ও প্রচারণা চালাতে হবে, নইলে এই খাত পুরোপুরি ভেঙে পড়বে।’
সূত্র: কেএমএস





