মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাশিন প্রদেশে রবিবার সেনাবাহিনীর বিমান ও ড্রোন হামলায় ৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে একজন শিশু। স্থানীয় বাসিন্দা এবং কাশিন স্বাধীনতাকামী সেনা (KIA) সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কেআইএ-র মুখপাত্র মেজর নোবো জানান, রবিবার দুপুরে চীনের সীমান্তের কাছাকাছি লানসাই গ্রামে হেলিকপ্টার ও যু্দ্ধবিমান দ্বারা বোমা বর্ষণের ফলে তিন জন নাগরিক নিহত হয়েছে, যার মধ্যে একজন শিশু। এই হামলায় কিছু আবাসিক ভবনও ধ্বংস হয়েছে।
মিয়ানমার নাউ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, একই দিনে ফারকাহেন্ট শহরে ড্রোন হামলায় এক বাবা ও তাঁর ছেলে নিহত হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় প্রতিদিন সেনাবাহিনীর ড্রোনের ঘন উৎক্ষেপণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ফারকাহেন্টে ১৯ সেপ্টেম্বরও একই ধরনের ড্রোন হামলায় দুই নাগরিক নিহত হয়।
ফারকাহেন্ট, লানসাই, ইয়েনমু ও বামু শহরে মিয়ানমার সেনা ও কাশিন স্বাধীনতাকামী সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে কাশিন স্বাধীনতাকামীরা প্রায় ১৫টি শহর এবং ডজনখানেক সামরিক ঘাঁটি দখল করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে, ১৭ সেপ্টেম্বর কাশিন প্রদেশের শুই কো শহরে একটি সামরিক স্কুলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ২০ জন প্রশিক্ষার্থী নিহত এবং আরও অনেকজন আহত হয়।
আগস্ট মাসে হবাকান্ত শহরে এলোমেলো আর্টিলারি হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নাগরিক নিহত এবং ২৮ জন আহত হয়।
সূত্র: ANA











