মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

৭ অক্টোবরের লজ্জা: ইসরায়েলি অ্যাপাচি লক্ষ্য করে হামাসের গুলি

b5igo

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা ইসরায়েলের একটি অ্যাপাচি ফাইটার হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে। বিস্ময়কর বিষয় হলো, তারা ভারী অস্ত্র নয়, ব্যবহার করেছিল সাধারণ ক্লাশিনকভ রাইফেল। ঘটনাটিকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর মর্যাদায় বড় ধাক্কা হিসেবে বর্ণনা করেছে ইসরায়েলের হিব্রু দৈনিক মাআরিভ

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় সৃষ্ট ঘন ধোঁয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি উচ্চতা কমাতে বাধ্য হয়। এতে সরাসরি গুলির আওতায় পড়ে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। শেষ মুহূর্তে পাইলট লাফিয়ে বেরিয়ে এসে প্রাণে বাঁচলেও হেলিকপ্টারটি বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়। এ ঘটনা ইসরায়েলি সেনা নেতৃত্বকে হতবাক করে দেয়।

মাআরিভ আরও জানায়, হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সীমান্ত এলাকায় আরও চারটি অ্যাপাচি পাঠানো হয়। কিন্তু তারা অভূতপূর্ব বিশৃঙ্খলার মুখে পড়ে। দ্রুতই ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ শেষ হয়ে যায়। এমনকি কিছু পাইলট বাধ্য হয়ে গুগল ম্যাপস ব্যবহার করেন, যাতে মোবাইল ফোনে স্যাটেলারদের পাঠানো সাহায্যের সংকেত শনাক্ত করা যায়—যা সামরিক সমন্বয়ের ঘাটতি স্পষ্ট করে দেয়।

এই স্বীকারোক্তি সেনাপ্রধান হার্তসি হালেভির বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে তিনি স্বীকার করেছিলেন, হামলার সকালেই গাজা ডিভিশন ভেঙে পড়েছিল। ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের অনেকে ঘটনাটিকে বর্ণনা করেছেন ‘অস্তিত্বগত ভূমিকম্প’ হিসেবে, যা তাদের নিরাপত্তা ও সামরিক মতবাদকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।

অ্যাপাচি ভূপাতিত হওয়ার ঘটনাটি কেবল একটি সামরিক দুর্ঘটনা নয়; এটি প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়—উন্নত প্রযুক্তির ওপর ভরসা করা ইসরায়েলি বাহিনীর দুর্বলতা আর ইস্পাত–কঠিন মনোবল ও কৌশলে সজ্জিত প্রতিরোধযোদ্ধাদের শক্তির।

আরো পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন