মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

রাজস্থানে গরু বহনের অভিযোগে মুসলিম যুবককে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা 

Muslim-Man-Lynched

ভারতের রাজস্থানের ভিলওয়ারায় আবারও গোরক্ষার নামে হিন্দুত্ববাদী সহিংসতার ঘটনা ঘটল। মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলার শেরু লাম্বিয়া নামে এক মুসলিম যুবক মেলা থেকে গবাদিপশু নিয়ে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কথিত উগ্র গোরক্ষক হিন্দুত্ববাদীরা তার গাড়ি আটকিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় শেরুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি শহিদ হন।

চিকিৎসকদের রিপোর্টে উঠে এসেছে—শেরুর মাথায় ভয়াবহ আঘাতের চিহ্ন ছিল, শরীরজুড়ে ছিল অসংখ্য দাগ ও কাটা ঘা। সব মিলিয়ে স্পষ্ট যে, তাকে পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মানবাধিকারকর্মী ইমরান রংরেজ ঘটনাটিকে ‘মানবতার হত্যা’ আখ্যা দিয়েছেন। তার ভাষায়—‘পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে মানুষ মারা হচ্ছে, অথচ প্রশাসন নীরব, ব্যর্থ।’ সাংবাদিক বাবলু সাগর লিখেছেন—এটি শুধু একজনের মৃত্যু নয়, বরং পুরো সমাজের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

ভিলওয়ারা পুলিশ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, ভুক্তভোগী শেরুর বিরুদ্ধেও গরু পাচারের মামলা রুজু করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়—রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ভিক্টিমকে সুরক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে তাদেরই দায়ী করছে।

শনিবার স্থানীয় মুসলিম সমাজ পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছে। তাদের মতে, ‘ধর্মের নামে সহিংসতা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের হামলা শুধু মুসলিমদের নয়, গোটা সমাজকে আতঙ্কিত করছে।’

এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের নানা জায়গায় একই কায়দায় মুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছে। গোরক্ষার নামে হিন্দুত্ববাদী বাহিনী একের পর এক লিঞ্চিং চালাচ্ছে, আর প্রশাসন অনেক সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

আরো পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন