মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্নের হুমকি আরাকান আর্মির

ছবি: ফাইল ফটো
ছবি: ফাইল ফটো

রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিয়েছে বৌদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান আর্মির এক শীর্ষ নেতা। এ তথ্য জানিয়েছে আরাকান নিউজ এজেন্সি। তাঁর অভিযোগ, রোহিঙ্গারা তাঁদের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া খবর’ ছড়াচ্ছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বুথিডং শহরের ৬ নম্বর এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও মিলিশিয়া নেতৃত্বের মধ্যে এক বৈঠকে এ হুমকি দেন জোন কমান্ডার মেজর সাইং শোয়ে। বৈঠকে তিনি তান শওক খান গ্রামে সংঘটিত গণহত্যার ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সূত্রগুলো বলছে, ওই গ্রামে অন্তত ৬০০ রোহিঙ্গাকে হত্যার প্রমাণ মিলেছে।

বৈঠকে আরাকান আর্মির নেতা অভিযোগ করেন, ‘তোমরা ফোনকে অস্ত্র বানিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে খবর ছড়াচ্ছ’। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো সমস্যা তৈরি হলে ‘সব মুসলিম (রোহিঙ্গা) নিশ্চিহ্ন করে দেবেন’। এমনকি আরাকান আর্মির অনুমোদিত ফোনও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন তিনি।

সাংবাদিক, রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো তান শওক খান হত্যাযজ্ঞের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করায় এই হুমকি এসেছে। এসব ভিডিওতে উঠে আসে, ২০২৪ সালের ২ মে নারী-শিশুসহ অন্তত ৬০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে গণকবর দেওয়ার দৃশ্য। এসব ফুটেজের উপর ভিত্তি করে এএ-র জেনারেলদের বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ চলছে।

আরাকানের উত্তরাঞ্চলে চলতি বছরের শুরু থেকেই ইন্টারনেট প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ফলে স্থানীয়রা বাংলাদেশি সেলফোন সিগনালের ওপর নির্ভরশীল। তবে এ জন্য প্রতি মাসে রোহিঙ্গাদের দিতে হচ্ছে প্রায় ৩ লাখ মিয়ানমারি কিয়াত (৭৫ মার্কিন ডলার)। সিম নিবন্ধন, তথ্য জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা এবং নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যবহার সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। নিয়ম ভাঙলে পড়তে হয় জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে রোহিঙ্গারা ঘরবাড়ি বন্ধ, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, জোরপূর্বক স্থানান্তর এবং চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে আরাকান আর্মির রাজনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপের পর থেকে তারা প্রায় ১৪টি জেলা দখলে নিয়েছে।