মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

আসামে বাংলাভাষী মুসলিমদের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ, বাস্তুচ্যুত হাজারো মানুষ

আসামে কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই হাজারো মানুষকে উচ্ছেদ। ছবি: কেএমএস
আসামে কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই হাজারো মানুষকে উচ্ছেদ। ছবি: কেএমএস

আসামে বাংলাভাষী মুসলিমদের অন্তত ৬০০ পরিবারের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।

কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস জানিয়েছে, সোশ্যালিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (এসপিআই) উচ্ছেদ অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ তাহসিন আহমদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে সব বৈধ কাগজপত্র থাকলেও তাঁদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘যাঁরা কয়েক দশক ধরে এখানে বসবাস করছেন, তাঁদের পুরো গ্রামকে মাত্র দুই দিনের নোটিশে ধ্বংস করা কোন আইনে বৈধ?’

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে এসপিআইয়ের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল জানায়, শুধু হাসিলা ভালে এলাকাতেই গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৬৬৭ পরিবার। কারবালায় এক স্থানীয় মুসলিম কৃষকের জমিতে অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছে প্রায় ৩০০ পরিবার। তবে তিনিও এখন কর্তৃপক্ষের হয়রানির শিকার।

জান্নাতপুরে ১৬১টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে, যাঁদের ঘর ছিল অস্থায়ী জমিতে। ধুবরির বালসিপাড়ায় প্রায় ২ হাজার পরিবার—অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার মানুষ—বাস্তুহারা হয়েছে। আহমদ বলেন, ‘সবাই এখন খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী তাঁবুতে দিন কাটাচ্ছেন, খাদ্য, চিকিৎসা কিংবা বিশুদ্ধ পানির কোনো ব্যবস্থা নেই।’

মানবাধিকার সংগঠন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মীরা বলছেন, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলাভাষী মুসলিমদের লক্ষ্য করে ঘরবাড়ি ভাঙা আসলে তাদের বাদ দেওয়ার এক পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই হাজারো মানুষকে উচ্ছেদ করা ভারতের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এসপিআই প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক মহল ও সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে এ মানবিক বিপর্যয় ঠেকানো হয়। তাঁরা বলেন, অন্যায়ের মুখে নীরব থাকা মানে কেবলই দুর্ভোগকে আরও গভীর করা।

আরো পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন