মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত দুই নারী

সাগাইং অঞ্চলে জান্তার পুড়িয়ে দেয়া এক বাড়ি। ছবি: এএনএ
সাগাইং অঞ্চলে জান্তার পুড়িয়ে দেয়া এক বাড়ি। ছবি: এএনএ

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সাগাইং অঞ্চলের পাঁচটি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। গুলি করে হত্যা করেছে দুই নারীকে। স্থানীয় সূত্র বলছে, বুদালিন শহরে ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিজিমা-র খবরে বলা হয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর শহর থেকে তিনটি সামরিক যান টহল দিতে বের হয়। এর মধ্যে দুটি শান্টি গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেসময় মাঠে কাজ করা দুই নারীকে গুলি করে হত্যা করে সেনাবাহিনী।

সাগাইং ফেডারেল ইউনিট কমিটি জানায়, সেনাবাহিনী ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গ্রামগুলোতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। শোয়েটাউং, হতানতাও, কান্তার, কুনিথার ও হোগি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কত ঘরবাড়ি পুড়েছে, তার হিসাব কোনো হিসেব নেই।

৫ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনী থাবিয়াবিন গ্রামে প্রবেশ করে। এতে গ্রামবাসীরা ধান ও চিনাবাদাম কাটার মৌসুমে ক্ষেতে যেতে পারেননি। হাজারো মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

সাগাইং অঞ্চলে কয়েক মাস ধরেই সহিংসতা বাড়ছে। সেনাবাহিনী নিয়মিত গ্রামে গ্রামে আগুন দিচ্ছে, লুটপাট চালাচ্ছে। কৃষিকাজ ও স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে।

এর আগে উইটলিট শহরের ইউনবিনকন গ্রামে সেনাদের বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী। আহত হয়েছেন ছয়জন। জুলাই মাসে সাগাইং রাজ্যের লিনতালো গ্রামে এক মঠে বিমান হামলা চালানো হয়েছিল। সেখানে আশ্রয় নেওয়া অন্তত ২৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল।

এর আগেও কান্তবালো শহরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অন্তত ৯ জন নিহত হন। প্রায় আট হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালান। চাওং ইউ শহরের কয়েকটি গ্রামে গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন একজন, আহত হয়েছেন দুজন।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার অস্থিরতায় ভুগছে। সেনাদের দখলদারিত্ব গৃহযুদ্ধকে আরও তীব্র করেছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নিহত, আহত ও আটকের সংখ্যা লাখের ঘরে। জাতিসংঘ বলছে, ২০২৫ সালে মিয়ানমারের প্রায় দুই কোটি মানুষ—অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ—মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হবে।

সূত্র: এএনএ