মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

মংডুতে রোহিঙ্গা জেলেদের উপর আরাকান আর্মির হামলা 

মংডুতে রোহিঙ্গা জেলেদের উপর আরাকান আর্মির হামলা। ছবি: এএনএ
মংডুতে রোহিঙ্গা জেলেদের উপর আরাকান আর্মির হামলা। ছবি: এএনএ

আরাকানের মংডুর মিনগলারগি গ্রামে ১২ জন রোহিঙ্গা জেলে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির হাতে নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন। অথচ তাঁরা আগেই নাফ নদীতে মাছ ধরার জন্য ছবি–সংযুক্ত আনুষ্ঠানিক অনুমতিপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

গ্রামবাসীরা জানান, ওই দিন জেলেরা চারটি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যান। এর আগে তাঁরা চাওং ওয়া ক্যাম্প থেকে আরাকান আর্মির সিলযুক্ত অনুমতিপত্র সংগ্রহ করেন এবং আরাকান আর্মির আরোপিত করও পরিশোধ করেন। নাফ নদীতে প্রবেশের আগে মিনগলারগি বাজার ক্যাম্প ও চাওং ওয়া ক্যাম্পসহ একাধিক তল্লাশিচৌকিতে তাঁরা এই কাগজপত্র দেখান।

কিন্তু ফেরার পথে আরাকান আর্মির সদস্যরা জেলেদের ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলেদের লাঠি দিয়ে পেটানো হয়, লাথি মারা হয়, বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে কয়েকজনের ঠোঁট ফেটে যায়, দাঁত ভেঙে পড়ে। দুজন গুরুতর জখম হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

মিনগলারগি গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, চাওং ওয়া ক্যাম্পে থাকা আরাকান আর্মির সদস্যরা স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। তারা অস্ত্র দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের আতঙ্কিত করছে এবং অযৌক্তিক বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিচ্ছে।

এ ধরনের হামলায় রোহিঙ্গা জেলেদের ভয় ও অনিরাপত্তা আরও বেড়েছে। এরই মধ্যে তাঁদের ওপর বাড়তি কর, চলাফেরার সীমাবদ্ধতা ও নানা হয়রানি চাপানো হয়েছে।

জেলেদের পরিবার বলছে, এসব নির্যাতন তাঁদের একমাত্র জীবিকা, মাছ ধরা, বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এতে তাঁদের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠছে, বাড়ছে মানবিক দুর্ভোগ।

গত আগস্টেই মিনগলারগি গ্রামের উত্তরাংশ থেকে ২৩ জন রোহিঙ্গা জেলেকে আটক করে আরাকান আর্মি। এর আগেও মাছ ধরার অনুমতির শর্ত হিসেবে রোহিঙ্গাদের ধরা মাছের অর্ধেক জমা দিতে বাধ্য করেছে এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।

আরো পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন