হায়দরাবাদের সুলতানপুরে ঐতিহাসিক জামে হুসাইনিয়া মসজিদ ও দারুল উলুম নোমানিয়া মাদ্রাসা বন্ধের দাবি তুলেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির স্থানীয় নেতারা। তাদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির সরকারি অনুমোদন নেই এবং সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে।
তবে মাদ্রাসার দায়িত্বে থাকা মাওলানা আকবর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সব ছাত্রই তেলেঙ্গানার স্থানীয় বাসিন্দা। এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে আসলে মসজিদের এই বিশাল জমি দখলের উদ্দেশ্যে।
‘ক্লারিয়ন ইন্ডিয়া’র খবরে বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে এক ধর্মীয় প্রতীক ভাঙচুরের ঘটনার পর থেকেই এ বিরোধ শুরু হয়। এরপর থেকে বিজেপি নেতারা মসজিদ ও এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছে।

এলাকার মুসলিম বাসিন্দাদের আশঙ্কা, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সমাজকে সেবা দিয়ে আসা এই মসজিদকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি নেতা রামাকৃষ্ণ রেড্ডি বলেছেন, অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি চলছে, তাই তা বন্ধ করতেই হবে।
আইন বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকারকর্মীরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন। তাঁদের মতে, ঐতিহাসিক মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। তবে তেলেঙ্গানা পুলিশ এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এরই মধ্যে ভারতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঠেকাতে সরকারি অভিযান শুরু হয়েছে। ভারত জাতিসংঘের শরণার্থী সনদে স্বাক্ষর করেনি এবং রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তাই জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড থাকা সত্ত্বেও তারা রোহিঙ্গাদের গ্রেফতার করছে, কাউকে বাধ্য করছে বাংলাদেশ ও যুদ্ধ কবলিত আরাকানে ফিরে যেতে। ঘটেছে সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনাও।
সূত্র: এএনএ











