আজ মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী পশ্চিম তীরের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ধরপাকড় ও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। উগ্রবাদী বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও নির্যাতন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, দখলদার বাহিনী উত্তরাঞ্চলীয় নাবলুস ও ক্যালকিলিয়া শহরে প্রবেশ করে সাধারণ নাগরিকদের ওপর তল্লাশি ও গ্রেপ্তার অভিযান চালায়।
তারা আরও জানায়, সেনারা নাবলুসের আগে অভিযান চালিয়েছে বালাতা শরণার্থী শিবির ও কফর কলিল গ্রামে। রক্ষা পায়নি জেনিনের পশ্চিমে ইয়ামুন শহর, তুবাসের দক্ষিণে টামুন শহর, তুলকারেম অঞ্চলের বালআ ও আনাবতা শহর এবং দক্ষিণ খালিলের (হেবরন) ইয়াত্তা শহরও।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তুবাসের দক্ষিণে টামুন শহরে অভিযান চালানোর সময় দখলদার বাহিনীর গুলিতে একই পরিবারের পাঁচ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনারা শিশুদের বহনকারী একটি গাড়িতে গুলি চালায়। আহতদের মধ্যে একজনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট নিশ্চিত করেছে যে আহতদের সাহায্য করার চেষ্টা করার সময় তাদের চিকিৎসাকর্মীরাও সরাসরি গুলিবর্ষণের মুখে পড়েন।
বসতি স্থাপনকারীদের হামল
একই প্রেক্ষাপটে, খালিলের উত্তর-পূর্বে ওয়াদি সাঈরে বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের জমিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়।
তাছাড়া, খালিলের উত্তরে বেইত উম্মার শহরের সীমানায় ওয়ারদান এলাকায় তারা ফিলিস্তিনি কৃষকদের ওপর হামলা চালায়। আলজাজিরাকে দেওয়া স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, বসতি স্থাপনকারীরা কৃষকদের মারধর করেছে এবং তাদের জমিতে যেতে বাধা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এক ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী খালিলের দক্ষিণে সুমুয়া শহরের দিকে যাওয়া একটি সড়কে এক ফিলিস্তিনি শিশুকে গাড়ি চাপা দেয়।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, রামাল্লাহর উত্তরে সিঞ্জিল শহরের আত-তাল এলাকায় উগ্র বসতি স্থাপনকারীদের হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি যুবকেরা একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
সূত্র: আল জাজিরা









