মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর হাতে ছয়জন শহীদ

3

অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে গত আগস্ট মাসে ছয় কাশ্মীরিকে হত্যা করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।

কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের গবেষণা শাখার তথ্য বলছে, এর মধ্যে চারজনকে ভুয়া ‘এনকাউন্টার’-এর নামে হত্যা করা হয়েছে।

একই সময়ে সেনা, পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ) ও ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) যৌথভাবে ১৮৬টি চিরুনি অভিযান ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায়। এসব অভিযানে ২৯ জন বেসামরিক মানুষকে আটক করা হয়। তাঁদের অধিকাংশই তরুণ, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মী। আটক ব্যক্তিদের অনেককেই কালো আইন ইউএপিএ ও পিএসএ-র আওতায় বন্দী রাখা হয়েছে।

এ সময় নয়াদিল্লি-নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার নেতৃত্বে ১১ জন কাশ্মীরির বাড়ি-জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়। পাশাপাশি পাঁচজন মুসলিম সরকারি কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে তিন হাজারেরও বেশি কাশ্মীরি দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হুররিয়ত কনফারেন্সের (এপিএইচসি) চেয়ারম্যান মাসরুরাত আলম বাট, মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিক, শব্বির আহমদ শাহ, আসিয়া আন্দরাবি, নঈম আহমদ খান, ফাহমিদা সুফি, মানবাধিকারকর্মী খুররম পারভেজ এবং সাংবাদিক ইরফান মজিদসহ অনেক নেতা, কর্মী ও শিক্ষিত নাগরিক।

কাশ্মীরি বিশ্লেষকদের মতে, বছরের পর বছর ধরে ভুয়া অভিযোগে নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষকে আটক রাখা হচ্ছে। এটি রাজনৈতিক প্রতিশোধ ছাড়া আর কিছু নয়।