মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা তুরস্কের

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা তুরস্কের
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। ছবি : মিডল ইস্ট মনিটর

তুরস্ক ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে আঙ্কারা। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান হত্যাযজ্ঞ এবং ইসরায়েলের আগ্রাসী নীতি পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীল করে তুলায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে গাজার সব এলাকা দখল করতে চাইছে। তারা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নস্যাৎ করার পথে হাঁটছে, আর যুক্তরাষ্ট্র এ প্রক্রিয়ায় অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা ইসরায়েলের গণহত্যা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েল মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের না খাইয়ে মারছে। এর ফলে হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর পেছনে ইসরায়েলের লক্ষ্য হলো গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উৎখাত করা।

ফিদান আরও বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ইঙ্গিত দিচ্ছে ইসরায়েলের লক্ষ্য শুধু গাজা নয়, পুরো ফিলিস্তিন দখল করা। উগ্রপন্থী মন্ত্রী ও বসতি স্থাপনকারীরা মসজিদুল আকসায় হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে আরও বিস্ফোরোণ্মুখ করার চেষ্টা করছে। তবে কাতার ও মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে তুরস্ক কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি জানান, ইসরায়েলের আগ্রাসী নীতি গাজা ছাড়িয়ে জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, সিরিয়া, ইরান ও লেবানন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলের মানসিকতা আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিকে প্রকাশ্যে অগ্রাহ্য করছে।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, ইসরায়েল একটি শক্তিশালী নতুন সিরিয়া দেখতে চায় না। কিন্তু তুরস্ক তার সে চাওয়া মেনে নেবে না। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসরায়েল- ইরানের বর্তমান উত্তেজনা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা

আরো পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন