আরাকানে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা টানা বৃষ্টি ও বন্যায় অন্তত পাঁচ গ্রামের মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘নারিনজারা নিউজ’-এর খবরে বলা হয়েছে, কিয়াউকটাউ, মারাউক ইউ, মিনবিয়া, থানদোয়ে ও টংগপ—এই পাঁচটি গ্রামের বহু বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে টানা ভারী বর্ষণ ও পানির তীব্র প্রবাহে। রাজ্যের অন্তত ১৭টি শহরে নদীর পানি উপচে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘নদীর পানি কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু বৃষ্টি থামছে না। আমরা আতঙ্কে আছি, আবার পানি বাড়লে কী হবে—এই ভয়ে এখনো কেউ কেউ ঘরে ফিরছেন না।’
এর আগে কয়েক দিন আগে আরাকানের মংডু শহরের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে প্রায় ৯০ শতাংশ কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যায়, রোহিঙ্গা বসতির অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় একটি প্রধান সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যান চলাচলও বন্ধ রাখতে হয়।
গত ২৬ মে থেকে আরাকানে টানা বৃষ্টি ও বন্যা চলছে। এর ফলে মংডুর রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত এলাকা ও চাষের জমি পানিতে ডুবে যায়। জুন মাসেও রাজ্যের একাধিক শহরে ভারী বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সূত্র: এএনএ