মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

সিরিয়ার পাশে থাকার ঘোষণা ইরানের

যারা ভেবেছিলেন, এই দখলদার শক্তির আনুগত্য শান্তি ও নিরাপত্তা আনবে, তারা বড় ধোঁকায় ছিলেন।
ইরানের সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাকের ক্বালিবাফ । ছবি : আল মায়াদিন

সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ইরান। দেশটির সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাকের ক্বালিবাফ বলেছেন, ‌‘ইরান সব সময় সিরিয়ার পাশে ছিল এবং থাকবে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে এই অঞ্চলের জনগণকে একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারণ, ইসরায়েল কেবল শক্তির ভাষা বোঝে।’

রোববার তেহরানে মজলিসে শুরার এক প্রকাশ্য অধিবেশনে ক্বালিবাফ বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য অপরিহার্য। দখলদারিত্ব ও হস্তক্ষেপ ঠেকাতে সম্মিলিত প্রতিরোধই একমাত্র পথ।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যেসব সরকারকে উপনিবেশবাদী শক্তির স্বার্থে ব্যবহার করে, তাদের ওপরই আগ্রাসন চালাচ্ছে। দামেস্ককে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে তারা প্রমাণ করেছে, সিরিয়া ইসরায়েলের শেষ লক্ষ্য নয়।

ক্বালিবাফ বলেন, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। যদি কেউ নিজের দেশের নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করে গড়ে তুলতে চায়, তাহলে তাকে বুঝতে হবে—সে আসলে নিরাপদ নয়, বরং একটি অস্থির ও অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে আছে এবং মিথ্যা নিরাপত্তাবোধ নিয়ে জীবনযাপন করছে।

তার ভাষায়, ইসরায়েল হলো এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রধান শত্রু। এই দখলদার শক্তিকে প্রতিহত করতে হলে তার ভাষায় জবাব দিতে হবে—আর তা হলো শক্তি।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েক মাসে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা অবকাঠামো ধ্বংস এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ইসরায়েল তার আসল চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে। যারা ভেবেছিলেন, এই দখলদার শক্তির আনুগত্য শান্তি ও নিরাপত্তা আনবে, তারা বড় ধোঁকায় ছিলেন।

ক্বালিবাফের মতে, এখন সময় এসেছে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধভাবে এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।

সূত্র: আল মায়াদিন

সর্বশেষ