সিরিয়ায় নিজেদের সামরিক কার্যক্রমে পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে সমঝোতায় পৌঁছেছে ইসরায়েল ও তুরস্ক। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত দুটি গোপন বৈঠকে এই সমঝোতায় উপনীত হয় দুই দেশ। ইসরায়েলি দৈনিক ইসরায়েল হাইয়োম–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পত্রিকাটি ইসরায়েলের একটি সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দুই দেশ সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন, সামরিক ঘাঁটি স্থাপন এবং সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয়ের একটি দীর্ঘমেয়াদি কাঠামো তৈরির বিষয়ে একমত হয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা চায় দক্ষিণ সিরিয়া একটি নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল হিসেবে বজায় থাকুক। দেশটির আশঙ্কা, তুরস্ক ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের অংশ হিসেবে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের উদ্যোগ নিতে পারে, যা ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তুরস্ককে একটি সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেলআবিব।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তিনি বিষয়টি মধ্যস্থতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উত্থাপন করতে পারেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাকুতে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলো আজারবাইজান সরকারের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন, সেনা মোতায়েন এবং সামরিক তৎপরতার সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ইসরায়েল স্পষ্ট করে জানায়, বিশেষ করে পালমিরা অঞ্চলে তুরস্ক যদি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে, তাহলে তারা সেটিকে ‘রেড লাইন’ অতিক্রম বলে বিবেচনা করবে এবং একে দ্বিপাক্ষিক আস্থার বরখেলাপ হিসেবে দেখবে।
সূত্রটি আরও জানায়, উভয় পক্ষ একটি স্থায়ী সমন্বয় কাঠামো গঠনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। তবে পরবর্তী বৈঠক কবে ও কোথায় হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে প্রকাশ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান সিরিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ জানালেও কূটনৈতিক পর্যায়ে তুরস্কের কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তারা কোনোভাবেই ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নন।
সূত্র: আরটি অ্যারাবিক
