আফগানিস্তান থেকে ২০২১ সালের মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ‘অগোছালো’ ও বিতর্কিত প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক স্মারকলিপিতে তিনি জানান, ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করা জরুরি, যাতে সঠিক তথ্য জনগণের সামনে উপস্থাপন করা যায় এবং সংশ্লিষ্টদের দায় নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, এই লক্ষ্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি পূর্ববর্তী সব তদন্ত ও প্রতিবেদন পুনরায় খতিয়ে দেখবে। এতে তথ্য-উপাত্ত, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এবং ঘটনার ক্রম বিশ্লেষণ করা হবে।
মন্ত্রী হেগসেথ বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায়। এই ঘটনার সঠিক মূল্যায়ন আমাদের যোদ্ধা, জনগণ এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে উৎসারিত।
২০২১ সালে তালেবান যোদ্ধাদের অগ্রগতির মুখে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী অল্প সময়ের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত কাবুল বিমানবন্দর থেকে বিশাল এক উদ্ধার অভিযান চালায়। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তবে সেই সময়, ২৬ আগস্ট, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এক আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৭০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন মার্কিন সেনা।
তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানালেও, অনেক সমালোচক মনে করেন এই সিদ্ধান্তই আফগান সরকারের আকস্মিক পতনের অন্যতম কারণ। সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান আবারও আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করে, যা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন অভিযানে তাদের প্রথম সরকার পতনের দুই দশক পর ঘটে।
সূত্র: এএফপি