সম্প্রতি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংঘটিত স্বল্পকালীন যুদ্ধে চীনা অস্ত্র সফলতা প্রমাণ করার পর বিশ্ববাজারে এসব অস্ত্রের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে, এমনটাই বলছে মার্কিন বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গের এক অনলাইন প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত চীনা অস্ত্রের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এ সংঘাত চীনা অস্ত্রকে নতুন করে মূল্যায়নের সুযোগ তৈরি করছে। ফলে এতদিন পশ্চিমা অস্ত্রের তুলনায় কম সক্ষম বলে যে ধারণা প্রচলিত ছিল চীনা অস্ত্রের ব্যাপারে, তা ভুল প্রমাণ করতে পারে। এতে করে চীনকে নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়তে পারে।
এদিকে চীনে তৈরি জে-১০সি (J-10C) মডেলের যুদ্ধবিমান ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান সফলভাবে ভূপাতিত করায় তাইওয়ানে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। চীন যে দ্বীপটিকে নিজের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে, সেই তাইওয়ানের জন্য এই ঘটনা নতুন করে নিরাপত্তা আশঙ্কা তৈরি করেছে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এই সাফল্যের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চীনা অস্ত্রের রপ্তানি বাড়তে পারে। গত সপ্তাহের শেষ দিকে জে-১০সি যুদ্ধবিমানটির বাজারমূল্য আগের তুলনায় এক চতুর্থাংশের বেশি বেড়ে গেছে।
তাইওয়ানের উদ্বেগ
আমেরিকান বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ চীনা রাষ্ট্রীপন্থী পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের সাবেক প্রধান সম্পাদক হু শিজিনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক মন্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পাকিস্তানের হামলা যদি সত্যিই সফল হয়ে থাকে, তাহলে এতে তাইওয়ানের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
তাইপেইয়ের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক শু হসিয়াও হুয়াং জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত তাইওয়ান গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। তাঁর মতে, এই পরিস্থিতিতে চীনা বাহিনীর আকাশযুদ্ধ-সক্ষমতা নতুনভাবে মূল্যায়ন করা জরুরি। কারণ এ সক্ষমতা পূর্ব এশিয়ায় মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান শক্তির সমকক্ষ অথবা তা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
ব্লুমবার্গের সূত্রে আল জাজিরা