ভারতের ধারাবাহিক আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান চালিয়েছে এক যুগান্তকারী সামরিক প্রতিক্রিয়া—‘অপারেশন বুনয়ানুম মারসুস’। ৯ মে রাতে পরিচালিত এই অভিযানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ও সাইবার হামলার সমন্বয়ে ভারতের অভ্যন্তরে একাধিক কৌশলগত ও সামরিক স্থাপনায় নিখুঁতভাবে আঘাত হানে।
এই অভিযান মূলত ৫ ও ৬ মে ভারতের কথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ হামলার জবাবে আসে, যেখানে পাকিস্তানের বেসামরিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এতে দেশজুড়ে জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিশোধের দাবি জোরালো হয়।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: লক্ষ্যবস্তু ছিল কৌশলগত ঘাঁটি
পাকিস্তানি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক ‘Fatah-1’ গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলোর লক্ষ্যভেদী ক্ষমতা অত্যন্ত নিখুঁত। আঘাত হানা হয়েছে ভারতের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে:
- বাঠিন্ডা, উধমপুর, পাঠানকোট ও সিরসা বিমানঘাঁটি
- আদমপুর এয়ারবেসে মোতায়েন ভারতের S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
- উরি অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদর দপ্তর ও রসদ ঘাঁটি
- বিয়াস ও নাগরোটায় অবস্থিত ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার
- দেহরাঙ্গিয়ারি কামান ঘাঁটি
- রাজৌরির সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
সাইবার যুদ্ধ: ভার্চুয়াল পরিকাঠামোতে ভয়াবহ অচলাবস্থা
এই অভিযানের সমান্তরালে চালানো হয় একাধিক সমন্বিত সাইবার হামলা, যার ফলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর কার্যক্রম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। হামলার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে নিচের খাতগুলোতে:
- ভারতের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড—৭০ শতাংশ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়
- মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট
- বিজেপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অচল হয়ে পড়ে
- ক্রাইম রিসার্চ ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কার্যক্রমে বিপর্যয়
- মহানগর টেলিকমিউনিকেশন কর্পোরেশন (MTCL)
- ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (BEML)
- নৌবাহিনীর প্রযুক্তিগত তদারকি স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন
- একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্যাটেলাইটে ইলেকট্রনিক জ্যাম সৃষ্টি
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপ ছিল ‘পরিমিত কিন্তু দৃঢ় প্রতিরোধমূলক’। ইসলামাবাদ স্পষ্ট করেছে, তারা উত্তেজনা কমিয়ে আনার পক্ষপাতী, তবে তার আগে ভারতকে অবশ্যই আগ্রাসন ও উসকানিমূলক নীতি থেকে সরে আসতে হবে।
এই অভিযানের পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে সামরিক তৎপরতা ও কূটনৈতিক উত্তেজনা বহুগুণ বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিনের বৈরিতা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
সূত্র: জিও নিউজ