সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমাদ আশ-শারা ২০২৬ সালের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—এমন দাবি করেছেন সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ক্রেইগ মারি।
ক্রেইগ মারির ভাষ্য, শারা গোপনে যুক্তরাজ্যকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, সিরিয়া ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে এবং দুই দেশের মধ্যে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে প্রতিনিধিও বিনিময় হবে।
মারির মতে, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা আদায় এবং সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আহমাদ শারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
এক ব্রিটিশ কূটনৈতিক সূত্রের সঙ্গে আলাপচারিতায় ক্রেইগ মারি বলেন, ‘আমি জানতে চেয়েছিলাম, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনী কি সিরিয়া ছেড়ে যাবে? কিন্তু বিস্ময়করভাবে, এ নিয়ে কোনো পক্ষই কিছু বলেনি। যুক্তরাজ্য বিষয়টিকে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় ইস্যু হিসেবে দেখছে। আর আহমাদ শারা নিজেও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না।’
মারি আরও জানান, শারার মন্ত্রিসভা মূলত তাঁর ঘনিষ্ঠদের দিয়ে গঠিত। এই ২৪ সদস্যের মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ ও স্বরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় শারার আস্থাভাজনদের হাতে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রয়েছেন মাত্র তিনজন। নারী মন্ত্রী একজন, যিনি কানাডাপ্রবাসী একজন খ্রিস্টান। বাকি দুই সংখ্যালঘু হলেন একজন কুর্দি, একজন আলাভি এবং একজন দ্রুজ।
এদিকে, ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে সিরিয়ার জন্য ৫৫ লাখ ইউরো (৬২.৫ লাখ ডলার) অনুদান ও ঋণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, যার অর্ধেকই সরাসরি এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে।
সাবেক এই কূটনীতিক আরও অভিযোগ করেন, সিরিয়ায় আহমাদ শারা ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এবং যুক্তরাজ্যের বিশেষ বাহিনীর সহায়তা পাচ্ছেন। তাঁর ভাষ্য, পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকরা শারার অধীনেই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে চায়। সে লক্ষ্যেই একপর্যায়ে শারার ঘনিষ্ঠ মহলে থাকা আরও কট্টর গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালানো হতে পারা।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর