ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে চ্যানেল ১২-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের মোট সুড়ঙ্গগুলোর মাত্র ২৫ শতাংশ ধ্বংস করতে পেরেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা, গাজা থেকে মিসর পর্যন্ত বিস্তৃত সুড়ঙ্গগুলোর একটি বড় অংশ এখনও সক্রিয় রয়েছে।
এই পরিস্থিতি হামাসের সম্ভাব্য অস্ত্র পাচার এবং ফিলাডেলফিয়া করিডোর থেকে ইসরায়েলের সরে যাওয়ার অনীহার পেছনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, শুধুমাত্র ফিলাডেলফিয়া করিডোরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেই অস্ত্র পাচার পুরোপুরি ঠেকানো যাবে না।
প্রায় দেড় মাস আগে আঞ্চলিক পরিষদের প্রধানদের এক সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটস বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়া করিডোর এখনও লেবানন ও সিরিয়ার মতো একটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল হিসেবে রয়ে গেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘আমি নিজ চোখে ফিলাডেলফিয়ার বেশ কিছু সুড়ঙ্গ দেখেছি—কিছু বন্ধ, কিছু এখনো খোলা। আমাদের কাছে এমন তথ্যও এসেছে যুদ্ধবিরতির সময় হামাস সেনা ঘাঁটি ও বসতিগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল।’
এই প্রেক্ষাপটে গাজায় ইসরায়েলি স্থল অভিযান এখনো চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ অভিযান আরও বিস্তৃত হতে পারে যদি চলমান আলোচনায় কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি না আসে।
চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে তিনটি ইসরায়েলি ব্রিগেড—১৪৩, ২৫২ ও ৩৬—অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
যুদ্ধ আবার শুরু হওয়ার পর গাজায় এক ধরনের নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস যোদ্ধারা এখন এলাকাগুলো থেকে পলায়ন করছে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ এড়িয়ে চলছে।
নিরাপত্তা সংস্থার মতে, ‘বর্তমানে যুদ্ধ অনেকটা ছড়িয়ে পড়েছে এবং সামনাসামনি লড়াই এখন খুবই সীমিত। অস্ত্রধারীরা সাধারণ মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, সুড়ঙ্গে বা নিরাপদ আশ্রয়ে আত্মগোপন করে। এতে সরাসরি সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়।’
তবে ইসরায়েলি বাহিনীর বিশ্বাস, এই পরিস্থিতি অস্থায়ী। শেষ পর্যন্ত সম্মুখ সমরে মুখোমুখি না হয়ে হামাস যোদ্ধাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।
সূত্র: ইসরায়েলি গণমাধ্যম