জার্মানির কাসেল শহরে একজন মুসলিম নারী প্রকাশ্য ইসলামবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন। প্রথমে পার্কিং লটে মৌখিকভাবে হেনস্তার শিকার হওয়ার পরদিন তার গাড়িতে একটি ঘৃণামূলক ইসলামবিদ্বেষী লিফলেট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই নারী ও তার পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ এপ্রিল, কাসেল-হেলেব্যুন এলাকার লিউশনারশ্ট্রাসে অবস্থিত ‘রেভে’ সুপারমার্কেটের পার্কিং লটে। পারিবারিক কেনাকাটায় বের হওয়া নারীটি তখন তার দশ বছর বয়সী ছেলে এবং দেড় বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে গাড়ি পার্ক করছিলেন।
নারীটি জানান, ঠিক তখনই একটি গাড়ি এসে তার গাড়ির পাশে পার্ক করে। গাড়ি থেকে নামার পরপরই এক জার্মান বৃদ্ধ তার দিকে তাকিয়ে উচ্চ স্বরে বলেন, ‘তুমি মুসলমান হয়েও কীভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলে, হারামজাদি!’ এমন বৈষম্যমূলক মন্তব্যে হতবাক হয়ে যান তিনি। তবে সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি আর কিছু না বলে দ্রুত গাড়িতে উঠে এলাকা ত্যাগ করেন।
ঘটনার পরদিন, ৫ এপ্রিল সকালে, তাদের বাড়ির সামনে পার্ক করা গাড়িতে একটি প্রিন্ট করা লিফলেট পাওয়া যায়। সেখানে একটি পর্দানসিন নারীর ছবি ছিল, যার ওপর লাল রঙে নিষেধচিহ্ন আঁকা ছিল। নিচে লেখা ছিল, ‘ড্রাইভিং এবং পার্ক করার সময় মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ।’
ভুক্তভোগী পরিবার মনে করছে, আগের দিনের সেই বৃদ্ধ ব্যক্তি তাদের গোপনে অনুসরণ করে বাসার অবস্থান জেনে নিয়েছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লিফলেটটি গাড়িতে রেখে গেছেন। তাদের মতে, এটি একটি স্পষ্ট হুমকি।
এই ঘটনায় নারীটি ও তার সন্তানরা মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
স্থানীয় মুসলিম অধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন, ইউরোপজুড়ে মুসলমানদের, বিশেষ করে পর্দানসিন নারীদের লক্ষ্য করে এ ধরনের ঘৃণাজনিত হামলার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র: DM