মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

ইসরায়েলি হামলায় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে গাজায় সাংবাদিক আহমদ মনসুরের শাহাদাত

ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গাজা উপত্যকার খান ইউনুসে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে শহিদ হয়েছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমদ মনসুর। সোমবার ভোরে খান ইউনুসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের পাশে সাংবাদিকদের একটি অস্থায়ী তাঁবুতে এই হামলা চালানো হয়।

আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একই হামলায় শহিদ হয়েছেন আরও দুইজন—সাংবাদিক হেলমি আল–ফাক্‌আউয়ি এবং তরুণ ইউসুফ আল–খানজানদার। আহত হয়েছেন অন্তত আটজন সাংবাদিক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, হামলার সময় সাংবাদিক আহমেদ মনসুর আগুনে পুড়ে দগ্ধ হচ্ছেন। এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

আহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন—হাসান ইসলায়হ, আহমদ আল–আঘা, মোহাম্মদ ফায়েক, আবদুল্লাহ আল–আত্তার, ইহাব আল–বারদিনি, মাহমুদ আওয়াদ, মাজেদ কুদিহ এবং আলি ইসলায়হ।

গাজার সরকারি তথ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর এ পর্যন্ত ২১০ জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন।

এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গাজার সরকারি তথ্য দপ্তর। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের টার্গেট করে হত্যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। তারা আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ইউনিয়ন, আরব সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বিশ্বের সব গণমাধ্যম সংগঠনকে এই ‘পদ্ধতিগত অপরাধের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

তথ্য দপ্তরটি একে ‘নৃশংস ও ঘৃণ্য অপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী, যুক্তরাষ্ট্র এবং এই গণহত্যায় সহায়তাকারী দেশগুলোর—বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের—উপর এর পূর্ণ দায়ভার চাপিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা