মিসরীয় লিংস নামে পরিচিত বিড়ালজাতীয় এক ধরনের হিংস্র প্রাণী সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের ক্যাম্পে ঢুকে আক্রমণ করেছে। অতর্কিত এই আক্রমণে ৫ ইসরায়েলি সেনা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
মূল ঘটনা হলো, একটি মাদী লিংস অতর্কিত ই স রা য়ে লি ঘাঁটিতে প্রবেশ করে। ঘাঁটিটি মিসর-ইসরায়েল সীমান্ত থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নেগেভ মরুভূমির জাবাল হারিফ এলাকায় অবস্থিত। লিংসটি হঠাৎ করে এক ই স রা য়ে লি নারী সেনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পায়ে কামড়ে দেয়।
কয়েক ঘণ্টা পর এটি আবার ফিরে এসে আরেক সেনাকে আক্রমণ করে, তারপর পালিয়ে যায়। এরপর পরের রাতেও আবার ফিরে এসে প্রশিক্ষণের সময় একসঙ্গে তিন সেনাকে কামড়ে দেয়। ই স রা য়ে লি গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
পরে ইসরায়েলের প্রকৃতি ও উদ্যান কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক মার্ক কাটজকে সাহায্যের জন্য ডাকা হলে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, আক্রমণ শেষে লিংসটি একটি জায়গায় লুকিয়ে লুকিয়ে কৃত্রিম ঘাস চিবোচ্ছে। পরে এক স্থানীয় পশুচিকিৎসকের সহায়তায় প্রাণীটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
লিংসের ধারাবাহিক হামলার পর আহত পাঁচ সেনাকে চিকিৎসার জন্য ‘বিরে শেভার’ সোরোকা হাসপাতালে নেওয়া হয়। জলাতঙ্ক রোগ আক্রান্ত করেছে কিনা— পরীক্ষা করা হয়। এদের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। এই রোগ স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে মৃত্যুও ঘটাতে পারে।
এ ঘটনা আরববিশ্বে বেশ আলোড়ন তুলেছে। সবাই বলছেন, আরবের রাষ্ট্রপতিরা যা করতে পারেননি ই স রা য়ে লের বিরুদ্ধে একটি ছোট প্রাণী তার চেয়ে বেশি করেছে।
এ প্রাণীটা নিয়ে বেশ ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। আরবিতে এটাকে الوشق المصري বলে। আর ইংরেজি বলে মিসরীয় লিংস। খুবই নীরিহ এবং মানুষকে ভয় পায়, এরকম একটা প্রাণী। প্রাণী বিজ্ঞানীদের মতে, লিংস একটি লাজুক ও নির্জনতাপ্রিয়। এরা মানুষদের ভয় পায়। এ কারণেই সাধারণত নির্জন অঞ্চল, বন বা পার্বত্য এলাকায় বসবাস করতে পছন্দ করে। তাই সম্প্রতি ই স রা য়ে লি সেনাদের উপর এদের হামলার খবর বেশ অস্বাভাবিক মনে হয়েছে, কারণ মানুষের ওপর এই প্রাণীর আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত বিরল।
লিংস সাধারণত ছোট শিকার, যেমন খরগোশ, মুরগি, ইঁদুর ও পাখি শিকার করে বেঁচে থাকে। কখনো কখনো এটি খাদ্য বা আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষের বসতিবেষ্টিত এলাকায় চলে আসে।
কুরআনে আল্লাহ বলেছেন,
وما كان ربك نسيا
و لله جنود السموات والأرض