মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

পশ্চিম তীরে এক দশকে ৫৩৫০টির বেশি সহিংস হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা

thumbs_b_c_2d3754b1f3cfe354b15ca2638ea62fa7

গত এক দশকে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ৫,৩৫০টিরও বেশি সহিংস হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। একটি মানবাধিকার প্রতিবেদনে উঠে আসা এই তথ্য বলছে, এসব হামলায় ফিলিস্তিনিদের জানমাল ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ও যানবাহনে পাথর নিক্ষেপ, কৃষিজমি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, এমনকি তাদের জাইতুন গাছ কেটে ফেলার মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এছাড়া, তারা পানির অবকাঠামো ধ্বংস করছে, গবাদিপশু চুরি ও হত্যা করছে—যার লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের জীবন-জীবিকা ধ্বংস করে নিজ ভূমি ছাড়তে বাধ্য করা।

গাজায় চলমান যুদ্ধকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ভয় দেখিয়ে নিজ গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করছে। বিশেষ করে ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর পর থেকে পশ্চিম তীরে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হামলার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অনেকে স্বীকার করেছেন বসতি স্থাপনকারীরা শুধু সহিংসতায় জড়িত নয়, বরং তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর সামরিক শাসন চাপিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াতেও সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এমনকি, তারা সেনাদের নির্দেশনা দিচ্ছে এবং সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও অংশ নিচ্ছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনারা ১,৪৭৫টি হামলা চালিয়েছে, আর বসতি স্থাপনকারীরা অন্তত ২৩০ বার ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াল অ্যান্ড সেটেলমেন্ট রেজিস্ট্যান্স কমিশন।

পশ্চিম তীরের সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটেছে নাবলুসে, যেখানে ৩০০টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণ হেবরনে ২৬৭টি ও মধ্য রামাল্লায় ২৬৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে, পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের শরণার্থী শিবিরগুলোতে গত ২১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ‘আয়রন ওয়াল’ নামে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে বহু ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন এবং শত শত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গাজায় হামলা শুরুর পর থেকেই পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ বেড়েছে। সরকারি তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ৯৩৭ জন ফিলিস্তিনি শহিদ, প্রায় ৭ হাজার আহত এবং ১৫,৭০০ জন গ্রেফতার হয়েছেন।