ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন করে গাজায় সীমিত আকারে স্থল অভিযান শুরু করেছে। বুধবার (১৯ মার্চ) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, এই অভিযান গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে বিচ্ছিন্ন করা এবং প্রতিরক্ষামূলক অঞ্চল সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
আইডিএফ-এর বিবৃতিতে বলা হয়, সেনারা গাজার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নেতসারিম করিডরে তাদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণ করেছে। পাশাপাশি, সেনাবাহিনীর গোলানি ব্রিগেডকে গাজার দক্ষিণ অংশে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
এর আগে, ইসরায়েলি বাহিনী এই করিডর নিয়ন্ত্রণে নিলেও ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে সেখান থেকে সরে গিয়েছিল।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনী নেতসারিম এলাকার সালাহ উদ্দিন সড়কের কিছু অংশ বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে, ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা জানিয়েছে, নেতসারিম করিডরে নিয়োজিত বিদেশি পর্যবেক্ষক দল মঙ্গলবার এলাকা ছেড়ে গেছে।
চ্যানেল ১৪-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা আংশিকভাবে নেতসারিম করিডরে প্রবেশ করেছে, তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ এখনো নেয়নি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, গাজার যুদ্ধক্ষেত্র সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। তিনি ফিলিস্তিনিদের ‘স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার’ আহ্বান জানান।
এছাড়া, তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব না মেনে চলে এবং বন্দিদের মুক্তি না দেয়, তাহলে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালানো হবে।
এর আগে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার উত্তরের বেইত হানুন এবং দক্ষিণের খান ইউনুসের খুজা ও আবাসান আল-কাবিরা এলাকার বাসিন্দাদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এসব উচ্ছেদ আদেশের কারণে হাজারো মানুষ গাজা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
