ফিলাডেলফিয়া করিডর থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য চারটি শর্ত নির্ধারণ করেছে ইসরায়েল। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী এলি কোহেন আজ বৃহস্পতিবার এ শর্তগুলো ঘোষণা করেন।
আগামী শনিবার থেকে গাজা উপত্যকা ও মিশরের সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফিয়া করিডর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার কথা। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় এটি চুক্তির প্রথম ধাপের ৪২তম দিনে শুরু হবে এবং ৫০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
তবে সেনা প্রত্যাহারের আগে শর্তগুলো চূড়ান্ত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন এলি কোহেন। ইসরায়েলি সম্প্রচার সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের চারটি শর্ত রয়েছে—ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, হামাসকে উৎখাত, গাজার নিরস্ত্রীকরণ এবং পূর্ণ নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।’
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানিয়েছেন, ফিলাডেলফিয়া করিডর একটি নিরাপত্তা অঞ্চল হিসেবে থাকবে, যেমন লেবানন ও সিরিয়ার সঙ্গে সীমান্তবর্তী নিরপেক্ষ অঞ্চল রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে, হামাস যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলি সেনাদের ও বসতিগুলোতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল।’
ফিলাডেলফিয়া করিডর গাজা ও মিশরের সীমান্তবর্তী একটি কৌশলগত পথ, যা ভূমধ্যসাগর থেকে কেরেম শালোম পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং কয়েকশ মিটার প্রশস্ত। এ করিডোরেই রয়েছে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং, যা গাজার প্রধান আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার।
২০২৪ সালের মে মাসে ইসরায়েল গাজার অংশে ফিলাডেলফিয়া করিডর ও রাফাহ ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি দিক দখল করে। তবে এই দখল মেনে নেয়নি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও মিশর।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি