রমজান মাসকে সামনে রেখে আল-আকসা মসজিদে নতুন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিকল্পিত বিধিনিষেধগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা। এছাড়া মসজিদের প্রবেশপথে চেকপয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে ৩,০০০ ইসরায়েলি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
রমজানের সময় নির্দিষ্ট বয়সের ব্যক্তিদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। শুধুমাত্র ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ, ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুরাই মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেন।
এছাড়া, পবিত্র জুমার নামাজে মুসল্লিদের সংখ্যা সীমিত করে ১০,০০০ জন নির্ধারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যারা জুমার নামাজে অংশ নিতে চান, তাদের আগেই অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনি ও মুসলিম বিশ্ব এসব বিধিনিষেধকে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিষয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও মুসলিম দেশগুলো।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে পূর্ব জেরুজালেম ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। রমজান মাসে সাধারণত লাখো মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন। তাই এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করা হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
