সিরিয়ার জাতীয় সংলাপ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। আজ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তুত কমিটির মুখপাত্র হাসান দাঘিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সম্মেলন প্রাথমিকভাবে দুই দিনের জন্য নির্ধারিত হলেও প্রয়োজন হলে এর সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। এটি মূলত সিরিয়ার জনগণের মধ্যে সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যেখানে আগের শাসনব্যবস্থার সমর্থকরা অংশ নিতে পারবেন না। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিতদের চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারীদের আগমন আগামীকাল থেকে শুরু হবে।
দাঘিম বলেন, এই সংলাপ দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার সূচনা করতে পারে। এর মূল লক্ষ্য হলো বিচারিক সংস্কার, নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা। এর আগে, সিরিয়ার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে এসব বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সংলাপ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক পরামর্শ হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং এগুলোর ভিত্তিতেই সংবিধান, অর্থনৈতিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
এবারের সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ছয়টি প্রধান বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তবে প্রয়োজন হলে নতুন বিষয় যোগ করা হতে পারে। দাঘিম বলেন, রাক্কা ও দেইর আজ-জোরের জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হবে, তবে এটি তথাকথিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর মাধ্যমে হবে না। পাশাপাশি শহিদদের স্বজন ও এতিমদের প্রতিনিধিত্বও নিশ্চিত করা হবে।
প্রস্তুত কমিটি জানিয়েছে, সংলাপ শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ করবে। তাদের মতে, এটি কেবল একটি সম্মেলন নয়; বরং জাতীয় সংকট সমাধানের ধারাবাহিক ও দায়িত্বশীল প্রচেষ্টা।
উল্লেখ্য, সংলাপের প্রস্তুতি হিসেবে এর আগে সিরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে ৩০টিরও বেশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৪ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমাদ আশ-শারা জাতীয় সংলাপের প্রস্তুত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
সূত্র: আল-জাজিরা